৪২
"অরণ্য.... "
"উমম....."
"একটু উঠো না... লক্ষীটি প্লিজ, আশুরা এসেছে।"
"উউউহ......" অরণ্য আরো শক্ত করে মাথার বালিশটা আকড়ে ধরল। নিঝুমের অতি আদরের ডাকও এখন ওর কর্ণ কুহরে কোন আনন্দের প্রতিফলন ঘটাচ্ছে না। নিঝুম অযথাই ওর সময় নষ্ট করছে। ও এখন ওই ফাহিমের জন্য নিজের আরামের ঘুমটা বরবাদ করতে রাজি না।
খুব ভোরে ফাহিম আর আশু এসে পৌছেছে এখানে, সেই থেকে নিঝুম খুট খুট করেই যাচ্ছে। একবার লাইট জ্বালছে,একবার বারান্দায় যাচ্ছে। আশুর জন্যই হোক বা ফাহিম, নিঝুমের এই উৎকন্ঠা অরণ্যকে মোটেই কোন আনন্দ দিচ্ছে না। এর মধ্যে নিঝুম পাঁচবার এসে ওকে ডেকে গেছে। অরণ্য বুঝতে পারছেনা ফাহিম আসছে বলেই ওকে ধেই ধেই করে সেখানে যেয়ে নাচতে হবে কেন? নিঝুমের আচরন দেখে মনে হচ্ছে ফাহিম একেবারে অরণ্যকে দেখার জন্যই বিদেশ থেকে এতদূর আসছে... যত্তসব ফালতু।
ওর ওই কার্টুনকে দেখার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নাই, নিঝুমের এত শখ উতলায় খালাতো ভাইকে দেখে... ও যেয়ে করুক খাতিরদারি, অরণ্যতো আর ওকে বেঁধে রাখেনি। পাশ ফিরে নিঝুমের মাথার বালিশটা নিয়েও চোখের উপর দিল অরণ্য। নিঝুম নির্ঘাত ইচ্ছে করেই লাইটটা জ্বালিয়ে রেখেছে যাতে ও আরাম করে ঘুমুতে না পারে। কিন্তু আজতো অরণ্য ঘুমাবে মনের সুখে। বেলা বারটার আগে আজ ও উঠবেই না। ব্যাটা ফাহিম তুই দেখ, তোর সাথে দেখা করার জন্য এই অরণ্য মরে যাচ্ছে না।
"বিদেশে যেয়ে ভাল কিছু তো শিখেনা, মানুষের বউয়ের আঁচল ধরে টানা টানির শখ, বেয়াদব একটা,"বিরবির করতে করতে আবার চোখ বন্ধ করল অরণ্য।
নিঝুমের মেজাজ এবার সত্যি সীমা ছাড়াচ্ছে। অরণ্য এগুলো কী নাটক শুরু করেছে! সে এমন ভাব করছে যেন ঘুমে একেবারে মরে যাচ্ছে। কিন্তু আসলে ও মটকা মেরে শুয়ে আছে। আচ্ছা ফাহিম ভাই আসছে তো আসছে, তার সাথে কথা নাই বল কিন্তু নিজের একমাত্র শালীটা আসছে তার সাথে কোন লোকটা না উঠে কথা বলে। অসহ্য... সবাই যার যা ইচ্ছা করবে আর ওকে সেগুলো সামাল দিতে হবে।
নিঝুমের খুব ইচ্ছে হচ্ছে ফাহিমকে এক্ষুনি বলে দেয় যে এটা ওর অরণ্য, অয়ন না। কাজেই ওর জন্য অপেক্ষা করা বন্ধ করে দিক ফাহিম ভাই৷ আর ফাহিম ভাই দেখতে মোটোও খারাপ না। যথেষ্ট ভদ্র একজন ডাক্তার। যে কোন মেয়ে এক পায়ে রাজি থাকবে ওনাকে বিয়ে করতে কিন্তু সে নিঝুম না।
কিন্তু হঠাৎ ফাহিম ভাইয়ের মাথায় এ কী ভূত চাপল সেই জানে। এমন পাগলের মতো কেন ছুটে আসলেন... কী বলতে চান তিনি ওকে?
...............................
ফোনের শব্দে পলকা ঘুমটা ছুটে গেল অরণ্যর। ইমার্জেন্সি কল সো করছে স্ক্রীনে... তারমানে পার্থর ফোন। বোধহয় টীম রেডি হয়ে গেছে ওদের কাজের জন্য, ভিতরে ভিতরে একটা উত্তজনা টের পায় অরণ্য।
" হ্যালো পার্থ"
"অরণ্যদা আপনি কি ঘুমাচ্ছেন?"
"না.. না.. তুমি বলো।"
"আপনি ঢাকা ব্যাক করবেন কবে?"
"টীম কি রেডি?"
"এইট্টি পারসেন্ট। "
"আমি সামনের সপ্তাহে ব্যাক করার চেষ্টা করব, হুট করে গেলে সন্দেহ হতে পারে। আর অয়নের পোষ্টিং কোথায় করানো হচ্ছে ফাইনালি?"
"কুমিল্লা... আমাদের অপারেশনটা চিটাগংয়ে হবে, ওখানে ভাবীকে নিয়ে ঢোকা আপনার ঠিক হবে না। তাই কুমিল্লা বেষ্ট। আপনি অপারেশনের পর পরই কুমিল্লায় ব্যাক করবেন। এরপর মাস তিনেক উত্তরবঙ্গে থাকবেন। ততদিনে পরিস্থিতি আশা করি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।রাইসুলকে এবার যে করে হোক সাজা পেতেই হবে। "
"হমম।'
"অপারেশনের মাস্টার প্ল্যান যে করবেন উনি জয়েন করেছেন অরণ্যদা, খুব দক্ষ লোক। "
" আহ! শুনে আনন্দ হলো।"
"বান্দরবন,খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ওনার ঠোঁটস্থ।"
"সাবাশ "
" আচ্ছা তাহলে আপনি ঢাকায় ফেরার আগে মোহসিন স্যারকে ইনফর্ম করবেন আর পরদিন ব্যাংকে ঢুকে একটা কল করবেন, তাহলে আমাদের মিটিংটা টাইমলি শুরু করা যাবে।"
"ওকে.... আমি এই সিম ডিঅ্যাকটিভেট করে দিচ্ছি এখনই।"
"করে দিন। নতুনটা কথা বলার দু ঘন্টা আগে অ্যাকটিভ করবেন। আর সিমের সিরিয়ালটা মেইনটেইন করবেন।"
"হম।"
"ভালো থাকবেন,ভাবি ভালো আছেন?"
"আলহামদুলিল্লাহ.. ভালো আছে।"
" ঠিক আছে তাহলে রাখি। "
ফোনটা কেটে দিয়ে ফোনের সিমটা ভেঙ্গে ফেলল অরণ্য। আগামী এক সপ্তাহ এই ফোনে কোন কল ঢুকবে না, ফোনটা অফ করে দিল ও। এই সাতদিন ঝুমের। এখন ও নেহায়েতই একজন ব্যাংকে চাকরি করা লোক... বিয়ের পরে নতুন বউয়ের সাথে মধুচন্দ্রিমায় এসেছে।
.........................................
নিঝুম রান্নাঘরের বারান্দায় পা ছড়িয়ে বসে কমলার সাথে গল্প করছিল। কমলা ওদের দারোয়ান অমলের বউ। নিঝুম এই দুদিনে মেয়েটার সাথে কথা বলে বেশ আলাপ জমিয়ে নিয়েছে। ওদের তিন বাচ্চা। ছোটটা ওর সাথে আসে, বড় দুটো বাড়িতে থাকে। সংসারের ছোট বড়ো সব কাজই ওরা করে। নিঝুম খুব অবাক হলো যখন শুনল যে, কমলা আর অমলের মাত্র গতবছর বিয়ে হয়েছে। এখানকার নিম্নবিত্ত... বিশেষ করে চা বাগানের শ্রমিকদের মধ্যে নাকি বিয়ে ছাড়াও একসাথে থাকা, বাচ্চার বাবা মা হওয়া অ্যালাও। আর্থিক সমস্যার কারনে অনেকেই সঠিক সময়ে বিয়ে করতে পারেনা। সমাজচ্যুত হয়ে দীর্ঘদিন একসাথে বসবাস করার পরে এক সময়ে ছেলেমেয়েদের উদ্যোগে এরা বিয়ে করে, না হলে ছেলে মেয়েরা আবার সামাজিক ভাবে বিয়ের স্বীকৃতি পায় না। নিঝুম হা হয়ে কমলার কথা গুলো শুনছিল। ওর কেবলই মনে হচ্ছিল ওর জীবনের ঘটনা হয়তো এমন নয় কিন্তু কোথায়, কেমন করে যেন কমলার সাথে ওর ভীষন মিল। সামাজিক স্বীকৃতি, সন্তান, স্বামী, পরিবার সব নিয়ে বিশাল এক অঙ্ক। সমান সমানের এপিঠ আর ওপিঠের সমতা রক্ষা করতে যেয়ে ওর মতো কমলাকেও হয়তো অনেক অপমানের স্বীকার হতে হয়েছে, অনেক বিপদ পারি দিতে হয়েছে আর টাকার সমস্যা তো আছেই।
ওখান থেকে উঠে এসে ফ্রীজ থেকে মিষ্টির প্যাকেট খুলে গুনে গুনে দশটা মিষ্টি বের করল নিঝুম। মিষ্টিগুলো ফাহিম ভাই ঢাকা থেকে নিয়ে এসেছেন। কমলার হাতে সেগুলো ধরিয়ে দিয়ে দোতলায় উঠার মুখে ফাহিম ভাইয়ের মুখোমুখি হলো নিঝুম।
ফাহিম এক রকম পথ আটকে দাঁড়াল নিঝুমের।
"নিঝুম একটু কথা ছিল।"
নিঝুমের বুকটায় অদ্ভুত ধরনের অনুভূতি হলো। একটা মানুষকে মুখের উপর না বলার অভিজ্ঞতা ওর একেবারেই নেই। ফাহিম ভাই আসবে শোনার পর থেকেই ও মনে মনে কিভাবে তাকে না বলবে সেটার অনুশীলন করছিল। কিন্তু এখন আবার ওর হাত পায়ের লোম সব দাঁড়িয়ে গেছে। মনে হচ্ছে ও ভীষন এক পরীক্ষা দিতে বসবে কিন্তু বাস্তবে এমন কিছুই হয়নি।
নিঝুম ফাহিমকে ভাই বাদে ভিন্ন কোন দৃষ্টিতে দেখেনি কখনো। ছোটবেলা থেকেই নিঝুম জানে ফাহিম ভাই বেশ পড়ুয়া। আম্মু যদি পড়া নিয়ে কিছু বলতো তার তিন নাম্বার বাক্য হতো ফাহিম ভাইকে নিয়ে। তিনি ওদের বাসায় দ্বিতীয় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মর্যাদা পায় সবসময়।
ফাহিম ভাই যেবার ঢাকা মেডিকেল কলেজে চান্স পেলেন তখন থেকে ওনাকে সামনে দেখলে নিঝুমের হাত পা কাঁপা শুরু হতো। ওর মনে হতো যে কোন সময় উনি নিঝুমকে একটা ট্রানসলেশন ধরবেন আর ও সেটা পারবেনা। এখনও ওর তাই মনে হচ্ছে। বহু কষ্টে নিজের মাথা দুলিয়ে ফাহিমকে কথা বলার সম্মতি দিল ও।
"নিঝুম আমি তোমার সাথে আলাদা করে কিছু কথা বলতে চাই। তোমার বর্তমান হাজব্যান্ড কী এটা নিয়ে কোন ইস্যু তৈরি করবেন?"
নিঝুম এই উদ্ভট প্রশ্নের কী উত্তর দিবে বুঝল না। বর্তমান হাজব্যান্ড করবে কিনা ও জানেনা, তবে আগের জন অতীত থেকে এসে হলেও ফাহিম ভাইয়ের ঘাড় মটকাবে এতে কোনো সন্দেহ নেই ওর। অরণ্য, ফাহিম ভাইয়ের নাম মোটে শুনতেই পারছে না। কী দিন আসল... চুমু খান উনি আর চোটপাটও করেন উনি। নিঝুমের তো সব দিকেই লস, বেল আলুর গোড়া জুটে আর গোল আলুর পাতা... হু।
ফাহিমকে সাথে নিয়ে সামনের লনের গোলচত্তরটার উপরে গিয়ে বসল নিঝুম। এটাই সবচেয়ে ভদ্ররোচিত বলে মনে হলো ওর। বাসার ভিতরে কথাগুলো বললে বাজে একটা পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে বলে মনে হচ্ছিল ওর।
"বলুন ফাহিম ভাই," নিঝুমই শেষ পর্যন্ত কথাটা তুলল। এই বিষয়টা আজকেই শেষ করতে চায় ও। বিবাহিত একজন মহিলার জন্য এ ধরনের কথা শোনাও গোনাহ আর অশোভনও বটে। কিন্তু ওর গুনধর স্বামী ওর জন্য এমন সুন্দর পরিবেশ তৈরী করেছে যে নাটক এখন ওকেও করতে হচ্ছে।
"নিঝুম আমি কী বলতে চাই সেটা তোমার অজানা নয় বলেই আমার ধারনা। আমি খুব বেশি কথা বলতে চাই না। তুমি জান আমি বরাবরই পড়াশোনা নিয়ে থাকতে পছন্দ করি। আরও পড়াশোনা করব বলেই বিদেশে যাওয়া। এখন তোমার হয়তো ধারনা যে, আমি সারাদিন রাত পড়ি বলে আমার ভিতরে রোমান্স নামের কোন বিষয় নেই। আমি কাউকে তোমাদের মতো ভালোবাসতে পারিনা," ফাহিম রীতিমতো অভিমানের সুরে কথাগুলো বলল, ভাবা যায়!
"না.. না.. ফাহিম ভাই। ওরকম কিছু আমি কখনো ভাবিনি। আমি আসলে... "
"আমি তোমাকে দোষ দিচ্ছিনা নিঝুম, আমার নিজেরও তেমনি ধারনা ছিল। কিন্তু প্রত্যেকটা মানুষের মনে হয় বিপরীত ধর্মী জিনিসের প্রতি প্রচন্ড কৌতুহল থাকে। আমার জন্য তুমি ঠিক তেমনই। আমি দেখতাম তুমি ঠিকমতো পড়তে না, তোমাকে আমি তখন সত্যি বলতে কিছুটা তাচ্ছিল্য করতাম। কিন্তু তারপরও আমার সামনে পড়লে তুমি পালাতে চাইতে, ওটা আমাকে ভীষন মজা দিত। এরকম চলছিল, আমি এর চেয়ে বেশি তোমার জন্য তখনো কোনকিছু অনুভব করিনি। এরপর স্কলারশিপ নিয়ে দেশের বাইরে চলে গেলাম। " বলে থামল ফাহিম। কথাগুলো বলতে রীতিমতো কষ্ট হচ্ছে তার বুঝতে পারছে নিঝুম।
"একদিন একটা সেমিনার চলছিল আমাদের যার মূল আয়োজক ছিলেন আমাদেরই পরিচিত কিছু বাংলাদেশী ভাই। সেমিনার শেষে কালচারাল প্রোগ্রামের ব্যবস্থা ছিল৷ আমি ডিনার শেষে ফিরছি হঠাৎ একটা মেয়েকে দেখে আমি থমকে গেলাম। মেয়েটা সুন্দর করে শাড়ি পড়েছিল, কিন্তু সেটা বিষয় না। বিষয় ছিল মেয়েটাকে দেখতে তোমার মতো লাগছিল," এটুকু বলে ফাহিম থামল, আবেগে ওর গলা কাঁপছে।
"ফাহিম ভাই এটা তো কোন আজব ঘটনা নয়। শাড়ি পরলে আশুকেউ আমার মতোই লাগে, বাঙালি মেয়েরা শাড়ি পড়লে কম বেশি একই রকমই সাজে, তাই দেখতে একই লাগে।"
"নিঝুম ওই রাতে আমার সারারাত ঘুম হয়নি, আমি সারারাত তোমার কথা ভেবেছি, আমার তখন খুব কষ্ট হচ্ছিল বিশ্বাস করো। নিজের উপর এতো রাগ হচ্ছিল যে, কেন তোমার সাথে এতদিন আমি ভালো করে কখনো কথা বলিনি। তার পরই আমি খালার সাথে যোগাযোগ করেছি কিন্তু ততদিনে অনেক দেরী হয়ে গেছে।"
নিঝুম চুপ হয়ে গেল। এ কোন মুশকিল হলো, ওকে ভাবতে বলছে কে ওনাকে?
" ফাহিম ভাই আপনি আমাকে মনে করছেন এটা তো আমার সৌভাগ্য, আপনি কতো জ্ঞানী একটা মানুষ। আপনি আমার মতো সামান্য একটা মানুষকে মনে রাখছেন, আমি কৃতজ্ঞ। "
"তুমি কী আমাকে নিয়ে মজা করছ নিঝুম ?"ফাহিম ব্যাথিত স্বরে জানতে চাইল।
"না ফাহিম ভাই,আপনাকে আমি সম্মান করি।"
"নিঝুম আমি সরাসরি একটা কথা বলি, আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই, তুমি কি রাজি?"
"আপনি এসব কী বলছেন ফাহিম ভাই, আমার তো স্বামী আছে।"
" অয়ন সাহেবতো বাধ্য হয়ে তোমাকে বিয়ে করেছেন বাচ্চাটার জন্য, অ্যাকচুয়ালি উনিতো বিয়ের নাটক করেছেন। কিন্তু আমি কোন নাটক করতে চাচ্ছি না। আমি সত্যি সত্যি তোমার আর তোমার বাচ্চার দায়িত্ব নিতে চাই নিঝুম। "
................................................................
"আমি সত্যি তোমার আর তোমার বাচ্চার দায়িত্ব নিতে চাই।"
কথাটা বুকের ভিতরটা দুমড়ে মুচড়ে দিল, নিঃশব্দে উল্টো দিকে হাঁটা শুরু করল আশু।
ঘুম থেকে উঠে পায়ে পায়ে নিঝুমদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল ও। এত তাড়াতাড়ি এই বিষয়ে নিয়ে আলাপ করবে ফাহিম ভাই বুঝতে পারেনি ও। বুঝতে পেরে তাড়াতাড়ি ফিরে এলো। খুবই গুরুত্বপূর্ণ আর ব্যাক্তিগত আলাপ হচ্ছে ওখানে, ওর ওখানে উপস্থিত না থাকাই ভাল।
সিড়ি বেয়ে উপরে উঠতেই অয়নের সাথে দেখা আশুর। উনি বোধহয় এখন নিচে নামবেন। ফাহিম ভাই কথা বলছেন, এমন সময় অয়ন ভাইয়ার ওখানে যাওয়াটা কী ঠিক হবে? অয়ন কে আটকে দেবার উদ্দেশ্যেই তাড়াতাড়ি ওর সামনে গিয়ে দাড়াল আশু, "কেমন আছেন ভাইয়া?"
"তার আগে তুমি বলো, কেমন জার্নি করলে? "
" আলহামদুলিল্লাহ ভাল।"
"এর আগে তো বোধহয় আসোনি কখনও এখানে? "
"না, আপুই তো প্রথমবার আসল। সেখানে আমি.. "
"আচ্ছা এ কয়দিন তোমাদের সব ঘুরিয়ে দেখাবার দায়িত্ব আমার, ঠিক আছে।"
অয়নের কথায় আশু বেশ অবাক হলো। এ যেন সেই আগের অয়ন, হাসিখুশি, সদালাপী। আপুর সাথে কী তাহলে মিলমিশ হয়ে গেছে ওনার? কিন্তু তাহলে ফাহিম ভাইয়ের কী হবে? অবশ্য ফাইনাল ডিসিশন তো আপুর হাতে।
আশু অয়নের কথায় সায় দিল," আচ্ছা ঠিক আছে। "
"গুড, চলো এখন নিচে যেয়ে নাস্তা করি। নাহলে ঝুমের কচকচানি শুরু হবে," বলেই অয়ন আর দাঁড়াল না, দ্রুত পায়ে নিচে নেমে গেল।
আশু, অয়নের কথায় হাসতে যেয়ে থমকে গেল। কথাটায় কি যেন একটা গড়বড় ছিল, কিন্তু সেটা কী?
......................................................
"হ্যালো অনা... ব্রেকফাস্ট ডান। আরে না না.. তোমাকে ছাড়া আমি ভাল কী করে থাকি বলো সুইটহার্ট। "
অরণ্য বেশ আয়েশের ভঙ্গিতে পায়েশ খাচ্ছে আর ফোনে প্রেমালাপ করছে ডাইনিংয়ে বসে। নিঝুমের ইচ্ছে হচ্ছে পুরো বাটির পায়েশটা একসাথে ওর মাথায় ঢালতে। অরণ্য যে ইচ্ছে করে ওর সামনে এই নাটকগুলো করছে তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই ওর। কিন্তু ওর সাথে সাথে এগুলো যে ফাহিম ভাইও শুনতে পাচ্ছে তার কী?
ওপাশ থেকে অহনা কী বলছে না বলছে তা নিয়ে নিঝুমের এখন কোন মাথা ব্যাথা নেই। কিন্তু অরণ্যর এই গা জ্বালান আচরনে ফাহিম যে আরও বেশি করে ওর পিছনে পড়বে তার কী করবে ও?
অরণ্য যখন ফোন রাখল ফাহিম তখনো খানিকটা বিস্ময় নিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। ফাহিমের মাথায় আসছেনা এই লোক নিঝুমের দায়িত্ব নিয়ে আবার তার প্রাক্তনের সাথে সম্পর্ক রাখছে কী করে! এরকম হলে নিঝুমের জীবনটাতো একদম শেষ হয়ে যাবে। অয়ন যদি তার প্রেমিকার সাথে সম্পর্ক বজায় রাখতেই চায় তাহলে তার দু নৌকায় পা দিয়ে চলার দরকার কী?
ফাহিম সিদ্ধান্ত নিল, রুমানা খালাকে একটু পরেই ও ফোন দিবে। এরকম ভাবে অয়নের দয়ায় বাঁচার কোন প্রয়োজন নেই নিঝুমের। ফাহিম আছে তার নিঝুমের জন্য। দরকার পড়লে দেশের সাথে একদম যোগাযোগ বন্ধ করে দিবে ও। তাহলে তো আর বাচ্চার পরিচয় নিয়ে কোন ঝামেলা থাকলনা ওদের। নিঝুমের সন্তানকে মেনে নিতে কোন সমস্যা নেই ওর, কেবল মা হয়তো কিছুটা আপত্তি করবে। কিন্তু ফাহিম তার চেয়েও বেশি নিঝুমকে পছন্দ করে। আর সবচেয়ে বড়ো কথা হলো অয়নের সাথে নিঝুম কখনোই সুখি হবে না, অয়ন সাহেব অসম্ভব রকম একটা বেয়াদব লোক।
ধীরেসুস্থে পায়েশটা শেষ করে ইচ্ছে করেই গায়ে পড়ে কথা বলা শুরু করল অরণ্য,
" ফাহিম ভাইকি সিলেট খুব ভালোবাসেন?"
"এ কথা কেন বলছেন?"
"না মানে আপনি হঠাৎ আমরা এসেছি শুনেই একবারে উড়তে উড়তে চলে এলেন বিদেশ থেকে... তাই ভাবলাম নিশ্চই শ্রীমঙ্গলের প্রতি বিশেষ কোন টান আছে আপনার। "
"উহহ.. না, সেরকম কিছু না। আসলে আমার জরুরি কিছু আলাপ ছিল নিঝুমের সাথে।"
"ওহ তাহলে তো আপনাকে অনেক কষ্ট করতে হলো। এরচেয়ে আপনি যদি আমাদের ফোন দিতেন তাহলে আমরা নিজেরাই আপনার সাথে দেখা করতে যেতাম।"
"আপনি কী আমার উপর অসন্তুষ্ট মিস্টার অয়ন?"
ফাহিম একটু উদ্ধত ভঙ্গিতেই প্রশ্নটা করল।
অরণ্যর প্রচন্ড ইচ্ছে হচ্ছিল, ফাহিমের মুখের উপর বলে যে, শা* তুই আমার বউয়ের দিকে নজর দিস, তোর চোখ যে আমি এখনও উঠাই নেই নাই সেটাই তোর চৌদ্দপুরুষের ভাগ্য, আবার তুই আমাকে জিজ্ঞেস করছিস আমি অসন্তুষ্ট কিনা তোর উপর! মেরে ঠ্যাঙ হাতে ধরায় দিব আর একদিন আমার বউয়ের পাশে এসে বসলে। কিন্তু নিঝুম খুব অনুনয়ের দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। আর এই মেয়ের অনুরোধ উপেক্ষা করার সাধ্য আল্লাহ অরণ্যকে দেননি। ভিতরে ফুলে ফেঁপে উঠা কথাগুলো তাই একরকম গিলে ফেলল অরণ্য।
চলবে......
প্রিয় কিছু রিভিউ.. লুকোচুরি ৪২ এর। কথাগুলো সব সময় নতুন কিছু লিখতে অনুপ্রেরনা দেয় 😊, ধন্যবাদ তোমাদের।
১. RaziaAmin9
লুকোচুরি
পর্ব ---- ৪২
রিভিউ পোস্ট 💖💖
-----------------------
----------------------
আপু, যেহেতু এখন গল্পের প্লট সিলেট সেহেতু সিলেটের চা শ্রমিক দের বাস্তব চিত্র খুব ছোট হলেও সম্পূর্ণ ভাবে তুলে ধরার বিষয় টা আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে। আমরা সবাই একই সমাজে বাস করেও এরা কত নিগৃহীত, নিষ্পেষিত।কত কষ্টের জীবন ওরা পার করছে ,যেখানে মেয়েদের প্রাপ্য সম্মানটুকু ও দেওয়া হয় না। কি কঠিন সংগ্রামের জীবন।বিয়ে বাচ্চার স্বীকৃতি পেতেও কত সংগ্রাম................😥😥😥😥😥😥😥😢😢😢😢😢😥😥😥😥
😢😢😢😢😢😢😢😢😢😢😢😢😢😢😢😢😢😢😢😢😢😢😢😢😢😢😢😢😢😢😢😢
ভাবছি ওরা কতো কিছু সহ্য করে, যা আমি চিন্তাও করতে পারি না 😴😴😴😴😴😴😴😴
এই ছোট্ট এক প্যারা লিখা কেন যেন ভিতর
থেকে আমাকে পুরোপুরি নাড়িয়ে দিয়েছে আপু😑😑😑 । খুব কষ্ট লাগছে। তবে আপনাকে স্পেশাল স্পেশাল থ্যাংকস, চা শ্রমিক দের জীবনের কিছু অংশ এই গল্পে তুলে ধরার জন্য। কত বিচিত্র ঐ জীবন 🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🤔🤔🤔🤔🤔🤔🤔🤔🤔🤔🤔🤔🤔🤔🤔🤔
যাক এবার আসল কথায় আসি,
" নিঝুমারন্য " আপনার সব জুটি গুলোর মতোই বেস্ট👌👌👌 ওদের ভালোবাসার বা বিয়ের অনেক সময় না হলেও ওদের আন্ডারস্ট্যান্ডিং অন্যরকম 😍😍। নিঝুমের কষ্টের ,দুঃক্ষের , অভিমানের মেঘ ☁🌧☁🌧☁🌧কত সহজে গলছে, যেন প্রতি টা মেয়ের বাস্তব জীবনের কাহিনী।
আপু, নিঝুমারন্য অনেক কষ্ট সহ্য করার পর আবার একত্রিত হয়েছে, এজন্য অরন্য যত বড় অপারেশন ই করুক না কেন ও যাতে ঠিক থাকে 😏😏😏😏( ইটস এ হুমকি 😜😜😜 হাল্কে মে নেহি লে না )
আর অপারেশন এর সময় রাইসুল কে আলু ভর্তা সেই সাথে বদ অনা নামের সাপের ফনা রেও আচ্ছা মতো পিটুনি দিয়েন 🔨🔨🔨🔨🔨🔨🔨🔨🔨🔨🔨🔨🔨🔨🔨🔨🔨🔨🔨🔨🔨🔨🔨🔨 🔨🔨🔨🔨🔨🔨🔨🔨 ( হাতুরি চালান) ।
আচ্ছা, এই ফাহিম ব্যাটা র কি এখন ই টপকানো টা জরুরি ছিলো 😈😈😈😈😈😈😈😈😈😈😈😈😈👿😈👿😈👿😈👿😈😈😈😈 রং মে ভং ঢালার জন্য হাজির হয়ে গেছে। অরন্য র ওরে কিছু উত্তম মধ্যম দেওয়ার দরকার ।
আচ্ছা, ও কি মেন্টাল,অন্যের বউ বিয়ে করে বাচ্চা সহ দায়িত্ব নিবে😠😠😠😠😠😠😠 যেন দাতা মহসিন। আজব পাবলিক। বউ তো বউ সাথে বাচ্চা ও ফ্রি। কেন রে কানা নাকি, আশু যে তোরে পছন্দ করে এটা চোখে পড়ে না।
আপু, ভাইয়া কে বলে ফাহিম কে তাড়াতাড়ি চোখের 👀👀 ডাক্তার দেখান।
অরন্য আর সময় পাইলো না, যে ওর বউ রে নিয়া টানাটানি করছে তার সামনে বসেই অনার সাথে প্রেম কপচাচ্ছে 😡😡😡😡😠😠😠😠😠😠
এই খবর নিঝুমের ফ্যামিলি জানলে বউ, বাচ্চা 👶👶👶 সব পগাঢ়পার হবে।
তবে নিঝুম যা গ্যাড়াকলে পড়ছে, দারুন লাগছে😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁😁এখন অরন্য পাগলকে সামলাবে , না ফাহিম এর মাথা থেকে প্রেমের ভূত তাড়াবে,বুঝো ঠ্যালা 😜😜😜
আর অরন্য তো এই সুযোগ কানায় কানায় ইউজ করবে নিঝুমকে জ্বালাতে😊😊😊😊☺☺☺☺☺☺☺
☺☺☺☺☺☺☺☺☺☺☺☺☺☺☺☺
I love that situation... 😚😘😚😘😚
Apu You are rock.....
We mango people r shocked...
.🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄
তবে সবচেয়ে বড় শান্তি নিঝুমারন্য একত্রে আছে। ওদের বেবি টাও 🐾🐾🐾 সেফ আছে।
এবার ফাহিম যেন আশুর ভালোবাসা বুঝে, আচ্ছা বুঝবে তো 🤔🤔🤔🤔🤔
আপু, খুব সুন্দর হয়েছে পর্ব টা। অনেক ভালো লেগেছে । আপনার গল্প গুলোতে বাস্তবতার ছোয়া থাকে। যেটা সত্যি পাঠকদের খুব রিলিফ দেয়, স্পেশালি আমাকে☺☺☺☺☺☺☺☺☺☺☺☺☺☺☺☺☺☺☺☺☺☺☺☺☺☺☺☺☺☺☺☺☺☺
Love you Apu.....
❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💞💞💞💞💞💞💞💞💞💞💞💞❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤
All the very best dear writer.....
😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘🍫🍫🍫🍫🍫🍫🍫🍫🍫🍫🍫🍫🍫🍫🍫🍫🍫🍫🍫🍫🍫🍫🍫🍫🍫🍫🍫🍫🍫🍫🍫🍫😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘
# কানচি
২.
#লুকোচুরি_৪২
------অরন্যের feelings for ফাহিম,,,
"আজ না ছোরুগ্গা তুঝে,ডামডামাডাম
তুনে ক্যায়া ঝামঝাহে মুঝে,ডাম........
ডিল ম্যা হ্যায় তুফান ভরা,ডামডামাডাম"...............
ফাহিমের feelings for নিঝুম,,,
"আপ জেসা কৈ ম্যারা জিন্দেগি ম্যা আয়ে তো বাদ বান যায়ে ওহো বাদ বান যায়ে..........."
আর নিঝুম,,,,,,,,,,
"ইধার চলু ম্যায় উধার চলু, জানে কাহা ম্যায় কিধার চলু????
আরে ফিছাল গায়িইইইই, এ তুনে ক্যায়া কিয়া..............অরন্য!!!!!!"
৩. AnjumFahima8
#রিভিউ_পোস্ট_😍
#লুকোচুরি_❤
#পর্ব_৪২_
🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹
প্রথমেই ফাহিম ভাইকে নিয়ে কিছু বলি.......😊😊
অবশেষে জানতে পারলাম ফাহিম ভাই কেন বিদেশ থেকে ছুটে এসে ঝুমের সাথে কথা বলার জন্যে এত অস্থির হয়ে গিয়েছিল😪😪
সবাই ফাহিম ভাইকে সহ্য করতে না পারলেও আমার মনে হয়,ফাহিম ভাই ভালো একটা চরিত্রে আছেন...কারণ ওনার চিন্তা-ধারণা,মন মানসিকতা ভালো..
যখন সবাই মেনে নিয়েছিল অরন্য আর নেই তখন সে ঝুমকে বিয়ে করার জন্যে তৈরি ছিল... আর এখনও যখন মনে হলো ঝুম তো অয়নের সাথে ভালো থাকবেনা বা অয়নের মনে অন্য মেয়ে আছে যার কারণে সে ঝুমকে আপন করে নিবেনা... কারণ সে জানেনা অয়নই তো অরন্য...
একদিকে দেখতে গেলে সে আসলেই ঝুমকে ভালোবাসে বলেই এমন করছে.. সামনে কি হয় জানিনা...তবে এখন এটাই মনে হচ্ছে আমার.. বাকিটা সামনের পর্ব পড়ে বুঝবো😊😊
এবার অরন্যকে একটু ওয়াশ করি.........😁😁
আচ্ছা অরন্য সাহেবের এতো জ্বলে কেন??ঝুমেরও তার চেয়ে বেশি খারাপ লেগেছিল যখন সে সামনাসামনি অনাকে চুমু খেতে দেখেছিল চুবিয়ে চুবিয়ে...হুহ্😏😏 এটা সাহেব বুঝেনা??জ্বলুক সে আরও বেশি করে.. ভাবছি ঝুমকে বলবো অরন্যের বুকের যেখানে জ্বলছে সেখানে মাংস পুড়িয়ে বারবিকিউ পার্টি করব আমরা😋😋 কি মজা হবে... শাস্তি পাওয়া দরকার😡😡 কারণ সে ঝুমকে জেলাস ফিল করাতে গিয়ে আগুনে আরো ঘি ঢেলে দিয়েছে... কি দরকার ছিল পাকনামী করে ফাহিম ভাইয়ের সামনে ঝুমকে দেখিয়ে দেখিয়ে অনার সাথে কথা বলার???তাও সুইটহার্ট বলে😤😤 ঝুমেরও এখন উচিত ফাহিম ভাইয়ের সাথে চুবিয়ে চুবিয়ে চুমু খাওয়া.. তারপর হিসাব বরাবর😏😏😏
এখন সামনে কি হয় তার অপেক্ষায় আছি... আই থিংক যা হবে ভালোই হবে... সবশেষে আমাদের আশু যেন তার ভালোবাসার মানুষকে পাই সে আশায় রইলাম...
ইউ আর দ্যা বেস্ট আপুনি❤❤
লাভ ইউ সো মাচ💜💙
🌹❤🌹❤🌹❤🌹❤🌹❤🌹
৪.
Piyali Banerjee
Review post 42
Prothome sharodiar subhechha janai,
Aronyo aar Nijhum ei nam duto sunlei mone bhalobasar ek onnyo chobi phute othe, bisesh kore ei porbe Aronyo er jealousy r je chobi pjute utheche ta ek kothay osadharon😍😍😍😍😍😍Aronyo r Nijhum er proti caring and bhalobasa proti ta porbe amra khub bhalo bhabe bujhte pari.
Aar ei Fahim er kotha ki bolbo, onnyer bou ke niye tanatani korche, aar je sotti bhalobase take chinte parche na.
Aar apu apnar lekhar kotha ki bolbo, osadharon, 💖💖💖💖💖💖💖apnar lekha mone ek proshantir chowa diye jai
Ei prothom review lekhar chesta korchi, kichu bhul hole maf kore deben😍😍😍😍😍😍😍
৫. aoyontiothoi
#রিভিউ_পোস্ট__
#ফায়জা_করিম_
#লুকোচুরি_
#পার্ট_৪২_
#Jealousy #जोलो #হিংসা তা তো ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ 😘 অন্য কারো সাথে সহ্য না করতে পারা ? অন্য কাউকে তোমার আশে পাশে ঘেঁসতে না দেওয়া।।। অন্য কাউকে তোমার পাশে দেখলে সহ্য করতে না পারা ??? তার জন্য যদি আমাকে বলো আমি হিংসুটে তাহলে আমি প্রচুর পরিমাণে হিংসুটে আর আমি এমন হিংসুটে সারাজীবন থাকতে চাই 😎😘😍
#ভালোবাসা_ কেউ পায় কেউ পায়না ?? ভালোবাসার অনুভূতি সবাই প্রকাশ ক্ষমতা এক না ।।। কেউ তার ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারে আবার কেউ সেই ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারে না।।। আশু ও তার ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারে নি 😥 আশু ফাহিম কে ভালোবাসে ।।। আশু তার ভালোবাসার কথা ফাহিম বলতে পারেনি ।।। ফাহিম বেকুব আশুর ভালোবাসা বুঝেনা🙄😏😣
#ভালোবাসা_ মরীচিকার মতো সবার জীবনে সবার জীবনে ধরা দেয় না।।। তবে সবাই এই মরীচিকার পিছনে ছুটে।।। ফাহিম ও ছুটছে এই মরীচিকার পিছনে।। ফাহিম নিঝুম কে ভালোবাসে।। নিঝুমের বেবি হবে বিয়ে হয়ে গেছে তার পর ও ফাহিম নিঝুম কে চায় ।। নিঝুম ফাহিম কে ভালোবাসে না।।। অথচ আশু ফাহিম কে ভালোবাসে আশুর ভালোবাসা ফাহিম বলদ বুঝে না।।। কখন এই বেকুব মরীচিকার পিছনে ছুটা বন্ধ করে আশুর ভালোবাসা বুঝবে😘😘😍
#ভালোবাসা_ অনেক সাধনার ফল ।। নিঝুম ও তার অরন্য কে ফিরে পেয়েছে।।। তার ভালোবাসার মানুষটিকে ফিরে পেয়েছে।।। বেচারি ঝুমের নাযাহাল অবস্থা 😪 অরন্য কে সামলাবে নাকি ফাহিম এর সাথে কথা না বলবে ।।। আচ্ছা অরন্য কি একটু বুঝবে না।।। ফাহিম ওর রিলেটিভস হয় ফাহিম এর সাথে কথা না বলতে পারে।।। বেচারি জন্য একটু দোয়া করো 🤗😊
#ভালোবাসায় হিংসা থাকবেই হিংসা ছাড়া ভালোবাসা মজবুত হয় না।।। অরন্য ফাহিম কে হিংসার ঠ্যালায় অহনা চুন্নির সাথে ইটিস পিটিস করছে।।। ওরে অরু যদি ফাহিম এই নিয়ে হাঙ্গামা করে তখন কি করবেন।।। এখন তো আপনি অয়ন এটা মনে রাখেন।।। অরন্য এটা কেমন হিংসা চোটে ফাহিম কে তো খুন করে ফেলতেছো মনে মনে ।।। বেচারি ঝুম কে বুঝতে চেষ্টা করো😏😏😏
#ভালোবাসার মায়া পরি অনেক অনেক ভালোবাসা নিও 😘💗💖 অসম্ভব সুন্দর হয়েছে।।। এত্ত এত্ত সুন্দর হয়েছে।।। এত্ত এত্ত ভালোবাসা এত্ত সুন্দর একটা পার্ট দেওয়ার জন্য 🍫🍫🍫
৬.
Review: lukochuri
part 42
Ajker part ta pore to amr hashi-i bondho hocchena.... oronno er amn hingshute achoron dekhe ami hashite goragori khachi 😂😂😂😂 sele ta pareo bote..... erpor shuru holo nijhumk jealous feel korano..... oronnor bhv e ato hashi pacche j ki bolbo..... aeishober moddhe bechari nijhum porse moha zamelay.....
Jai hok aei fahim loktake amr aktuo posondo hoyni..... beta ak number er luchu onner bou niye karakari 😠😠😠😠😠😠 shalare pithay thang venge hate dhoray dea uchit..... apu raisulk shasti debar por aei lucho beta keo shasti dio jonomer moto onner bou er dike nojor debar khayesh mite jabe..... akhon uni ashse nijhum er ma ke bole zamela badhate...... 😠😠😠😠😠😠😠😠😠 nije akta asto beadob abar oronno k bole beadob...... ami holeto betak zata pita kortam...... 😠😠😠😠😠😠😠😠
Jai hok apu khub shundor likhso alws amn
shundor shundor golpo amder upohar dao doa kori..... love u a llllllllllooooooooooooottttttttttt 😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘
Bạn đang đọc truyện trên: AzTruyen.Top