২৬

ঘুম থেকে উঠেই আশুর মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল,ধুর সেই বৃষ্টি। রাফিকে কল করলো, কোনো খবর নাই। এই ছেলেটার নাক, মুখ ও আজ ভাঙবে...

রাফির আজ নোট ফেরত দেওয়ার কথা ছিল ফিজিক্সের, কিন্তু এতো বৃষ্টি হলে রাফি নোট ফেরত দিবেই বা কী করে? কিন্তু আজ নোট না পেলে দুদিন পরে ওদের টেষ্ট পরীক্ষা, আশু পরীক্ষায় শিওর ডাব্বা মারবে।

আপুর সাথে কথা বলা দরকার একটা বিষয়ে, কিন্তু আপুকে একাই পাচ্ছে না আশু।। কাল অদীয়া আপু ফোন দিয়েছিল....
আপুদের পরীক্ষার রুটিন দিয়েছে। বিয়ের দুই সপ্তাহ পরেই পরীক্ষা শুরু হবে কিন্তু আপু তো পড়াশোনা একদম ছেড়েই দিয়েছে, কিচ্ছু করেনা।

আশুর নিজের অবস্থা আরও খারাপ, কাল রাত্রে নিজের রুমে জায়গা নেই.. রঙের টিন দিয়ে ভরা, জিজু ছিল তাই ওখানে শোয়াও সম্ভব ছিলনা, শেষ পর্যন্ত ড্রয়ইরুমের ডিভানে শুয়েই রাত কাটিয়ে দিতে হয়েছে আশুকে। মশারি না টানিয়ে গুড নাইট লাগিয়েছিল, কিন্তু মশার হাত থেকে বাঁচতে পারেনি, হাতটা পুরোই লাল হয়ে গেছে। হঠাৎ সমস্ত রাগ ওর এই মশার উপরে গিয়ে পড়ল আশুর।

........................

নিঝুম ঘুমের মধ্যে পাশ ফিরতেই একজোড়া হাত ওকে বুকের সাথে মিলিয়ে পিষে ফেলতে লাগল। এত বাড়াবাড়ি ভালোবাসায় দম আটকে আসছে তখন ওর। কাল সারারাত ভালোবাসার অত্যাচার চলেছে, ঠিকমতো ঘুমাতেই পারেনি ও.. চোখ খুলতেই জান বের হয়ে যাচ্ছে।

"অরণ্য প্লিজ ছাড়ো, ফ্রেশ হতে হবে। রাতে আম্মু কী যেন বলবে বলছিলো, এখন উঠে তাড়াতাড়ি ব্রেকফাস্ট ধরতে হবে। নইলে আম্মু আবার ডাকতে চলে আসবে।" নিঝুমের আতঙ্কিত চেহারা দেখে অরণ্য হেসে ফেলল।

"গুড মর্নিং মিসেস অরণ্য রহমান।"

নিঝুমের চুলে নাক ডুবিয়ে দিল অরণ্য।

"অরন্য... প্লিজ ছাড়ো...."

উত্তরে নিঝুমের ঠোঁট দুটোকে আলতো আদর দিয়ে দিল অরণ্য নাকের মাথা দিয়ে। এই ছোট্ট মিষ্টি আদরগুলো এমনিতে নিঝুমের খুব প্রিয়, কিন্তু আজ প্রথমবারের মতো কেন যেন ভাল লাগল না। অথচ অরণ্যকে বলতেও বাঁধছে... ওর কেমন গা গুলোচ্ছে।

অরণ্যর ঠোঁট দুটো ওর ঠোঁটের উপর চেপে বসতেই কেমন অন্ধকার করে এল নিঝুমের চারিদিক। অরণ্যর হাতদুটো আবারও অবাধ্য হয়ে উঠছে, কিন্তু নিঝুম এই মূহুর্তে খুবই ভঙ্গুর অবস্থায় আছে, যে কোন মূহুর্তে ভূমিকম্প শুরু হতে পারে।ওর গলা, বুক সব কেমন যেন জ্বলছে।

নিঝুম জোর করেই অরণ্যর কাছ থেকে নিজেকে ছাড়ালো।

"কি হলো? ওরকম করছো কেন?" নিঝুমের ঠোঁটে ঠোঁট ডুবাতে গেলেই প্রচন্ড এক ধাক্কা খেয়ে হতবাক হয়ে গেল অরণ্য। নিঝুমের চোখে মুখে এক সেকেন্ডের জন্য প্রচন্ড এক ঝলক রাগ ওকে থামিয়ে দিল।

পরমূহুর্তে ওকে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে হুড়মুড় করে বাথরুমে ছুটল নিঝুম। তারপর বেসিনে গিয়ে নিজেকে উজাড় করে দিল।

অরণ্যও ছুটল ওর পিছন পিছন, "কি হলো ঝুম... বমি হচ্ছে কেন, পেটে কোনো সমস্যা হলো?"

"জানিনা, কাল রাতে রিকশাতেও কেমন যেন লাগছিল, "বলতে বলতে আবারো আরেক দফা বমি করল নিঝুম।

বমির সময়টুকু নিঝুমের চুলগুলো উঁচু করে ধরে রাখল অরণ্য। মেয়েদের চুল বাঁধা যে এতো ভয়ঙ্কর কাজ এই প্রথম অনুভব করল ও। মেয়েদের চুল এই প্রথম বাঁধল ও। অয়ন মাঝে মাঝে আম্মুর চুল বেঁধে দেয়, ও তাই এ বিষয়ে অয়ন একটু পারদর্শি কিন্তু অরণ্যর এই বিদ্যে একটুও নেই। বহুকষ্টে নিঝুমের চুল গুলো পেঁচিয়ে খোঁপা করার চেষ্টা করল ও,কিন্তু কয়েক মুহূর্ত পরেই সেটা আবার খুলে গিয়ে মুখের পাশে ঝুলতে লাগল।

"কালকের বিরিয়ানি খেয়ে প্রবলেম হলো নাতো?"

"আমি কাল একদম এক চামচ নিয়েছিলাম
বিরিয়ানি। চকলেট কেকটা খুব পছন্দ বলে, ওটা দুই পিস খেয়েছি কিন্তু ওতেই বোধহয় সমস্যা হয়েছে। "

নিঝুম বাথরুমের মধ্যেই বসে পড়ল পেট চেপে। ওর মাথা কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগছে।

"এখন ভাল লাগছে?"

"গলা ছিলে গিয়েছে,কি বিশ্রী লাগছে, তিতা... তিতা..৷"

মুখটা বিকৃত করে ফেলল নিঝুম। অরণ্যর গায়ে ভর দিয়েই বিছানায় এসে বসল ও।

"শোন বিকেলে তোমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাব আমি, তৈরি থেক।"

"কিন্তু আম্মু যদি যেতে না দেয়।"

"আমি অনুমতি নিয়ে নিব।"

এবার নিঝুম হাসল, অরণ্যর নিজের কথা বা কাজের প্রতি এই দৃঢ় বিশ্বাসটা ভীষন ভাল লাগে ওর। বাড়তি কোনো কথা নেই 'আমি অনুমতি নিয়ে নিব'... আর নড়চড় হবার কোনো রাস্তা নেই। আর ঠিক করেও ফেলে কি করে যেন, ওর ম্যাজিক ম্যান।

অরণ্য ওকে রেখে গোসলের জন্য তোয়াল নিতেই মুখ গোমড়া করে ফেলল নিঝুম," কি খারাপ একটা লোক। আমার তখন কি ভীষন বমি পাচ্ছিল আর উনি জোর করে আদর করছিল, আর আমার এখন তার সঙ্গ দরকার আর উনি পালাচ্ছে...স্বার্থপর একটা লোক। "

"এখন তো বউ দেরি হয়ে যাবে, আটটা দশ বাজে। রেডি হয়ে কায়দা করে শশুড়বাড়ি থেকে বের হতে আমার যত কায়দা কানুন করা লাগে,চোর ধরার অভিজ্ঞতা না থাকলে সেটা নিশ্চিত পারতাম না৷ সাথে তোমাদের গেটের সামনের দোকাদারকে সাতদিন পরপর পয়সা দিয়ে হাতে রাখতে হয়, তোমার আব্বু - আম্মুর সামনে মুখ না খোলার জন্য, তাও আমি স্বার্থপর?"

"আমি ওসব জানিনা, আমার আদর চাই.. নাকি আমি বমি করছি তাই তোমার ঘেন্না করছে?"

এর পরের অবস্থার জন্য নিঝুম নিজেই দায়ী। খাল কেটে কুমির ডেকে নিয়ে এসেছিল ও। পাক্কা আধাঘন্টা পরে ছাড়া পেল ও অরণ্যর হাত থেকে।

...............................

রুমানা কি করবেন বুঝতে পারছেন না। নিঝুম ইদানীং এত দেরী করে ঘুম থেকে উঠে যে ওনার টেনশন হয় যে, মেয়ের বিয়ের পর কথা শুনতে না হয়। উহহ্...

বিরক্ত মুখেই সিড়ি ভাঙ্গতে লাগল রুমানা। কাল তিনি আর আশু মিলে নিঝুমের জন্য কিছু শাড়ি কিনেছেন। যদিও আসমা আপা খুব ভাল ব্যবহার করেন তবু বাড়ির নতুন বউ প্রথম প্রথম কিছুদিন শাড়ি পরুক এটা সব শাশুড়িরাই চায়। লোকজনের তখন বউ দেখার ধুম পড়ে যায়। রুমানার এখনো মনে পড়ে, শাহেদের সাথে বিয়ের দেড়মাস পরে গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে কতরকম অদ্ভুত মন্তব্য শুনতে হয়েছিল তাকে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি শুনতে হয়েছিল এই শাড়ি পরা নিয়ে। রুমানা তখন সবেমাত্র ম্যাট্রিক দিয়েছেন। ভাল করে কুচি দিতে পারতেন না। কুচি সব প্যাঁচিয়ে পেটের কাছে পোটলা হয়ে যেত। কেউ কেউ বিরূপ মন্তব্য করত আর বাকিরা খিল খিল করে হাসত।

শাহেদের কাছে ওগুলো নিয়ে অনেক কেঁদেছিলেনও তখন রুমানা । শাহেদ শুনে মুচকি হেসে জড়িয়ে ধরে বলতেন, "তুমি বুঝতে পারছনা,ওরা যে তোমার মতো হাইহিল পরে গট গট করে হাটতে পারেনা...সেই শোধট তুলছে ওরা।"

আর রুমানাও সেটা বিশ্বাস করে ঠান্ডা হয়ে যেতেন। নিঝুমের বেলায় যে তার কিছুই ঘটবেনা এটা একেবারে নিশ্চিত করে বলা মুশকিল। আসমা আপা যথেষ্ট স্নেহশীল বাচ্চাদের প্রতি, আর নিঝুমকে আদরও করেন যথেষ্ট। অরণ্যকেও খুব দায়িত্বশীলই মনে হয় রুমানার, বিয়ে ঠিক হবার পর থেকে নিঝুমের খোঁজ খবর রাখে নিয়মিত, এখন ভবিষ্যতে কি হবে সেটা আল্লাহই জানেন।

একটা জিনিস নিয়েই ইদানীং মন খট খট করে রুমানার, সেটা হলো অরণ্যর এই চাকরিটা৷ বিপদজনক একটা চাকরি। প্রায়ই দেখা যায় দীর্ঘ সময়ের জন্য যোগাযোগ বন্ধ রাখে অরণ্য। নিঝুম তখন বেশ অদ্ভুত আচরন করে। খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে চোখ মুখ ফুলিয়ে ফেলে। রুমানার ভয় হয়, মেয়েটা ভালোবেসে কষ্ট পাবে নাতো? শাহেদের উপর রাগ হয়, মেয়ের জন্য সাধারন চাকরি করা কোনো ছেলে বের করতে পারতো না ইচ্ছে করলে। আর কিছুদিন দেরি করলে হয়ত ফাহিমকেই পাওয়া যেত।

আর ফাহিমকে বিয়ে করলে নিঝুম অনেক বেশি টেনশন ফ্রি থাকতে পারত.. সুখে থাকত। অযথা এতো টেনশন করতে হতো না।

নিঝুমের ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে যথারীতি মেজাজ খারাপ হলো রুমানার। আর দশ দিনও নাই বিয়ের অথচ মেয়ে তার এখনও পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছে।

..........................

"আম্মু.... আপু গোসলে ঢুকেছে।"

আশু দৌড়ে এসে রুমানাকে থামাল। আম্মুর মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপুর আজ কপাল খারাপ।

"সে জন্য ঘরে ঢোকার মূল দরজা বন্ধ কেন রাখতে হবে শুনি ? আগে তো এসব বাজে জিনিস কখনো করতে দেখিনি।"

রুমানা চিৎকার করে উঠলেন। নিঝুম আজকাল উদ্ভট উদ্ভট আচরন শুরু করেছে।

"আপু তেলাপোকা ভয় পায় তো , তাই এখন বাথরুমের দরজা খুলে রেখে গোসল করে,যাতে তেলাপোকা দেখলে ভো দৌড় দিতে পারে," আশু ভয়ে ভয়ে বলল।

"তোরা দুইবোন যে এসব উদ্ভট বুদ্ধি কোথ থেকে আমদানি করিস... যত্তসব বাজে কাজ। এখন এগুলো ধর একটু, নিঝু দরজা খুললে এগুলো ওকে দেখতে বল। যেগুলো ওর পছন্দ হয় রেখে বাকিগুলো মানুষকে দিয়ে দিব।"

"যো হুকুম জাহাঁপনা।"

আশু তাড়াতাড়ি শাড়িগুলো নিয়ে নিল মায়ের হাত থেকে।

............................

"এখানে নামবি তুই?" ইদানীং আশুকে তুই বলে অরণ্য। ঝুমই ওকে বলেছে... আমি আশুকে তুই বলি অরণ্য, তুমিও চাইলে বলতে পার। তুই ডাকটা অনেক বেশি কাছের মনে হয় আমার।

"হ্যাঁ এখানে হলেই হবে জিজু, থ্যাঙ্কস। "

"না প্লিজ থ্যাঙ্কস বলিস না, আজকে আবার তোর জন্য বেঁচে গেলাম, না হলে তো একদম আম্মার হাতে ধরা পড়ে যেতাম।"

"হি..হি... ওরকম হলে কেমন হতো জিজু?"

"খুব খারাপ, এই কয়দিন চেষ্টা করব আর না আসার।"

"হ্যাঁ এই কয়দিন দেখাদেখিটা দিনের বেলা বাইরে করলে আর সমস্যা হবে না তোমাদের, আর আমারও মশার কামড় খেতে হবে না," আশু ওর হাত দেখাল অরণ্যকে।" আর তাছাড়া ফুপিরা চলে আসবে এর মধ্যেই, এত লোকের মধ্যে তোমাদের লুকোচুরি খেলাটা কঠিন ধরা পরে যেতে পারো যে কোনো সময়।"

"হুম.... আমরা এই সময়টাকে খুব মিস করবো পরে জানিস আশু। এরপর হয়ত হাজার রাত আমরা একসাথে নিশ্চিন্তে নিজেদের রুমে ঘুমাবো, কিন্তু এই লুকোচুরি দিনগুলি এমন যে আমাদের নাতিদের কাছে বলার জন্যও এটা একটা ট্রেজার হয়ে থাকবে আমাদের কাছে। "

"হুমম... আর এই ট্রেজার আইল্যান্ডের একমাত্র দারোয়ান হলাম আমি... হি.. হি।"

আশুর কথায় অরণ্য হো হো করে হাসতে লাগল।

..............................................

ডাক্তার বেশ উৎফুল্লিত চেহারা করে অরণ্যকে ব্যাপরটা খুলে বললেন, সেই সাথে একশ ভাগ কনফার্ম হওয়ার জন্য নিঝুমের ইউরিন টেষ্ট, ব্লাড টেস্ট আরও কি কি দিলেন।

খবরটা শুনে ঠিক কি রিএ্যাকশন দেখাবে বুঝতে পারলনা অরণ্য, সব তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে ওর।

"ঝুম তুমি কি ওষুধটা খাওনি?"

"খেয়েছিলাম তো?"

"তাহলে? "

"আমি কি করে বলবো?"

ওদের আলাপ শুনে ডাক্তার সরাসরি জিজ্ঞেসই করে বসলেন ওদের, "সরি এটা কি আনওয়ানটেড বেবি? কতদিন হয়েছে বিয়ে হয়েছে আপনাদের?"

"দেড়মাস"

"ওহ, তাহলে তো একদমই নতুন "

"জি"

"আপনারা কি চিন্তিত? "

"না আসলে ঠিক তা নয়, ওকে আসলে বিয়ের পর এখনো তুলে নিয়ে আসিনি,বুঝতেই পারছেন।"

"হ্যাঁ, কিন্তু আমার পরামর্শ হলো বাচ্চাটাকে আসতে দিন। এখন যদি অ্যাবরশন করান, পাপ তো হবেই, সাথে এমনও হতে পারে যে, হাজার দৌড়াদৌড়ি করেও পরে বাচ্চা কনসিভ করতে পারছেন না, এরকম কেস অনেক ফেস করতে হয় আমাদের।"

"না না আমরা অ্যাবরশনের কথা চিন্তাই করিনি, কিন্তু অবাক হয়ে গেছি, এটা সত্যি," অরণ্য নিচু স্বরে বলল।

"মিসেস রহমান আপনি কি টাইমলি ওষুধটা নিয়েছিলেন?"

"আ..আমি মনে করতে পারছিনা," নিঝুম ভয়ে ভয়ে উত্তর দিল। অরণ্যর মুখ দেখে ওর এখন ভয় হচ্ছে রীতিমতো।

"হুমম যাই হোক, কিছু একটা গড়বড় হয়েছে নিশ্চই ,কিন্তু এখন আপনারা আপনাদের বিবেক আর বুদ্ধির পরিচয় দিবেন এটাই আশা করি।"

"জি ডক্টর, আমরা বেবিকে দুনিয়ায় আসতে দিতে চাই, আমাদের ভুল ও কেন ভোগ করবে? আপনি প্লিজ ওর কিছু লাগলে বরং লিখে দিন।"

অরণ্য এবার দুর্বলতাটা ঝেড়ে ফেলে দিল, ওদের অবৈধ বাচ্চা তো নয় যে ওর মুখ লুকাতে হবে।

"আমিও তাই আশা করব, অবৈধ সন্তান যখন নয় তখন নিজেদের বাবা - মা হবার সুযোগ দিন।"

ডাক্তার নিলুফার নিঝুমের প্রেশক্রিপশনটা বাড়িয়ে দিলেন অরণ্যর দিকে।

চলবে.......

Bạn đang đọc truyện trên: AzTruyen.Top