৮- সৃষ্টি রহস্য
আবীর বিছানার উপর হেলান দিয়ে শুয়ে আছে! মাথার উপর ফ্যান বোঁ বোঁ করে ঘুরছে। আবীর নিজ মনে কথা বলে যাচ্ছে,
আচ্ছা একই বস্তু কি একই সময়ে দুটো আলাদা জায়গায় থাকতে পারে? অণু পরমাণুর ক্ষুদ্রতম জগতে এটা কল্পনা করা সম্ভব হতে পারে, কিন্তু আমাদের বাস্তব ত্রিমাত্রিক জগতে তা সম্ভব নয়। হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা নীতি বলে একটি ইলেকট্রনের ভরবেগ জানলে তার অবস্থান কিছুতেই নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়। আবার অবস্থান জানলে ভরবেগ পুরোপুরি জানা সম্ভব নয়।
একটা ইলেকট্রন একই সময়ে অনেকগুলো অবস্থানে থাকতে পারে।
প্রকৃতি সব সময়েই কিছু না কিছু ট্রিকস করছে, যা মানুষের ধরা ছোঁয়ার বাইরে, একদম পাশ কেটে যাচ্ছে কিন্তু ধরা যাচ্ছেনা। আমরা অনেক কিছুই জানি, কিন্তু সূক্ষ্মভাবে চিন্তা করলে সবখানেই একটা কিন্তু আছে, যেটা আমাদের বিজ্ঞান ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ। হ্যাঁ, সবখানেই।
বিগব্যাঙ থেকে বিশ্বব্রক্ষ্মাণ্ডের সূচনা সবাই জানে। আর যে ক্ষুদ্র বিন্দুর মাঝে বিস্ফারণে এতো কিছু হল, সেটা কিভাবে তৈরি হল? কিভাবে একটা বিন্দুতে বিস্ফারণ হতে পারে? কিভাবে এমন অসীম ঘনত্বের বিন্দু সৃষ্টি হয়েছিল?
তাহলে কি ধরে নেবো আমরা এক বিশাল মাদার ইউনিভার্সের এক ছোট্ট ব্লাকহোলের ভিতরে জমা হওয়া কুণ্ডলী পাকানো অসীম ঘনত্বের পদার্থের বিস্ফোরণে সৃষ্টি এক বেবি ইউনিভার্সে বসে আছি? তার মানে আমরা আসলে একটা ব্লাকহোলের ভিতরে বসে আছি? মহাবিশ্বের সীমানা কেউ কখনো দেখেনি। এটা তো বড় হচ্ছেই! ব্লাকহোলের ভিতরেও পদার্থ কেবল জমা হচ্ছে বের হয়ে আসছে তার খুব সামান্য হকিং রেডিয়েশনের মাধ্যমে। আদৌ হচ্ছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা সম্ভব নয়।
আমাদের কাছে ব্লাকহোলের ভিতরের সময় তো স্থির হওয়ার কথা। তাই না? যার ভিতরে সময় হয়ে যাচ্ছে স্থান আর স্থান হয়ে যাচ্ছে সময়! যেখানে গ্রেভিটি যত বেশি, সেখানে সময় ততই স্লো হবে। ব্লাকহোলের গ্রেভিটি অচিন্তনীয়।
নাকি এগুলি কেবল এর পৃষ্ঠে বা এর বাইরের জন্য সত্য? পৃথিবীর কেন্দ্রেও তো কোন গ্রেভিটি নেই। ব্লাকহোলের কেন্দ্রে হয়ত এর নিজস্ব গ্রেভিটি নেই! ব্লাকহোলের ভিতরে হয়ত অসাধারণ একটা মহাবিশ্ব তৈরি হয়েছে?
ব্লাকহোল তো- সব পদার্থ, শূন্য স্পেস, টাইম, আলো সব কিছুকেই খেয়ে ফেলছে। কিছুই রাখছেনা বাকি।
এগুলো আর কোথায় যাবে! হয়ত অন্য কোনো মহাবিশ্বে, হয়ত উপরের কোনো ডাইমেনশনে।
এসব জানার এখন কোন রাস্তা রাখেনি প্রকৃতি। এসব তো অনেক বড় বড় বিষয়।
পৃথিবী ঘুরছে সূর্যের চারপাশে, এই পরিবর্তন মহাকর্ষ এর কারণ দেখিয়ে যুক্তি দেয়া যায়। আবার এও দেখানো যায় সেগুলো আসলে মোটেই সেভাবে ঘুরছেনা যেভাবে আমরা ভাবছি। সেটা সূর্যের সাথে ছুটে চলছে মাত্র।
কিন্তু নিজের চারপাশে গ্রহগুলি কেনো ঘুরছে? হ্যাঁ! এংগুলার মোমেন্টাম! নেবুলার কলাপ্স থেকে পৃথিবী তৈরি অনেকে ধারণা করেছেন, সেই কারণে পৃথিবী ঘূর্ণন স্টার্ট করেছিল, যারা এই ব্যাখ্যা দিয়েছেন তারা নিজেরাও সেটা পরিষ্কার করে বলতে পারেননি, যে এটাই ঘূর্ণন সৃষ্টির কারণ।
গ্যালাক্সি কি দিয়ে তৈরি তা আমরা জানি। ধূলিকণা, হাইড্রোজেন, হিলিয়াম ইত্যাদি। কিন্তু কিভাবে সেগুলি একত্রিত হয়ে এতো বিশাল এক তারার মহাসাগর তৈরি হল তা কেউ গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারবেনা।
তবে ব্লাকহোল না থাকলে অবশ্যই গ্যালাক্সি টিকে থাকতে পারতোনা।
যাই হোক এই লিস্ট কিছুতেই শেষ হবেনা। এসব নিয়ে অনেক তর্ক বিতর্ক করা যায়।
আবীর পাশ ফিরে শুয়ে অবস্থান পরিবর্তন করল, কোথাও দৃষ্টিকে বিন্দু বদ্ধ করে আবার চিন্তায় ডুব দিল।
কথা হচ্ছে,
ইলেকট্রন একই সময়ে অনেকগুলো অবস্থানে থাকতে পারে সেটা হাইপার ডাইমেনশনে প্রবেশ করতে পারে বলে সম্ভব হতে পারে। অতি ক্ষুদ্র বলেই হয়ত ২৬ ডাইমেনশন পর্যন্ত ছড়িয়ে যেতে পারে। যদিও এসব এখনো থিউরি পর্যায়েই আছে, বোজনিক স্ট্রিং থিউরি।
আবার হয়ত জন হুইলারের কথাই সত্য যে কেনো মহাবিশ্বের সকল ইলেকট্রনের ভর এবং চার্জ এক্স্যাক্ট একই? তার মতে এই মহাবিশ্বে মাত্র একটাই ইলেকট্রন আছে, আলাদা আলাদা সময়ের ফ্রেমে। জন হুইলারের এই তথ্য রিচার্ড ফাইমেন কে পর্যন্ত ভ্যাবাচেকা খাইয়ে দিয়েছিলো যাকে ফাদার অব ফিজিক্স বলা হয়।
আচ্ছা, একটা খাতার দুটি পেজকে দুটো দ্বিমাত্রিক জগত ধরে, সেখানে ড্রইং করা দ্বিমাত্রিক জগতের (কাল্পনিক) প্রাণীরা বাস করছে যদি ধরা হয়....
আবীর ক্লান্তিহীন ভাবে বলেই চলছে,
আমি যদি দুটো কাগজে দুই পা দিয়ে দাঁড়াই। দুই জগতের প্রাণীরা দাবী করবে আমি তাদের জগতে, কেউ মানতে পারবেনা আমি অন্য জগতেও আছি এবং দুটি জগতেই একই সাথে একই সময়ে অবস্থান করছি। দুটি জগত কেন, আমিতো তৃতীয় জগতেও আছি অর্থাৎ থ্রি ডাইমেনশনাল ওয়ার্ল্ড, এটা তাদের বলার সাহস আর কুলাবে না।
তাদের দৃষ্টিতে সেটা একেবারে অসম্ভব। আবার পা না দিয়েও আমি খুব কাছ থেকে তাদের দিকে তাকিয়ে থাকতে পারি, আমি তাদের দেখবো কিন্তু ড্রইংগুলো আমাকে দেখবেনা। আর আমিও ড্রইং হয়ে কাগজের ভিতরে ঢুকে যেতে পারবনা। কেবল পায়ের তলাটা হয়ত রাখতে পারবো। মাত্র এক ডাইমেনশন (উচ্চতা) কম বলে ওদের জগত আমাদের ত্রিমাত্রিক জগত থেকে কত তুচ্ছ!!!
এমন করে তাহলে আমাদের থেকে উঁচু ডাইমেনশনাল কোন প্রাণী আমাদের দিকে এমনি করে তাকিয়ে নেই তা কে বলতে পারবে? খুব কাছেই হয়ত তারা আছে, হয়ত পঞ্চম, ষষ্ট, সপ্তম, অষ্টম কিংবা একাদশ ডাইমেনশনে? কিন্তু এমন কতগুলি দিকে ছড়িয়ে আছে যা দেখার জন্য, অনুভব করার জন্য আমাদের শরীর প্রস্তুত নয়।
ফোর্থ ডাইমেনশন যেহেতু সময়কে ধরা হয়, তাহলে এর উপরের ডাইমেনশন থেকে নিশ্চিত অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ একসাথে দেখা যায়। সেখানে সময়ও নিশ্চিত অনেকটাই ভিন্ন। মানুষ হয়ত জানেনা, অতীত, বর্তমান ভবিষ্যৎ ছাড়াও আরো অনেক ধরনের সময় আছে!
আবীর বিশ্বাস করে এমনিভাবে সৃষ্টিকর্তা আমাদের দেখছেন, আরো অনেকেই হয়ত দেখছে উপরের ডাইমেনশনগুলি থেকে। সৃষ্টিকর্তার দেখার জন্য নিশ্চয়ই ডাইমেনশনের প্রয়োজন নেই। যিনি ডাইমেনশন, স্পেস, সময় এসব নিজে সৃষ্টি করেছেন, তার অবস্থানের জন্য এসব দরকার পড়ার কথা না। আমাদের পদার্থ বিজ্ঞানের সূত্র তার সৃষ্টিকে বোঝার জন্য চালানো যেতে পারে, কিন্তু স্রষ্টাকে বোঝার জন্য সম্পূর্ণ ডিসকোয়ালিফাইড।
মানুষ ভাবছে, সৃষ্টিকর্তা কখনো না কখনো নিশ্চয়ই তৈরি হয়েছেন। একটা শুরু নিশ্চয়ই আছে, কিন্তু এই 'কখনো' কথাটার মানেই সময়। যেটা তিনি তৈরি করেছেন। তার জন্য সময় প্রযোজ্য না! তিনি অবশ্যই তার সৃষ্টির চেয়েও শ্রেষ্ঠ। আমরা তার সৃষ্টিই এখনো বুঝিনি। তাকে বোঝার স্পর্ধা আমাদের মানায় না। আমরা অতি মূর্খ।
আমরা হয়ত আটকে থাকা- দেয়ালে টাঙানো পেইন্টিং এর মতই, বা ছোট্ট টেলিভিশনে দেখা মুভি কিংবা অসাধারণ এক কম্পিউটারে খেলা ভিডিও গেমের মত! আমরা কি তাই করিনা যা আমাদের ইচ্ছা হয়? আমাদের ইচ্ছেগুলি কোথা থেকে আসে? পরিবেশ যেমন থাকে তার উপর ভিত্তি করে আসে। কেউ সুস্থ, স্বাভাবিক বলেই ভালোবাসার জন্য কাঁদে, আবার কেউ অসুস্থ বলেই, শুধু বেঁচে থাকার জন্য কাঁদে, সুস্থ এক জীবনের জন্য কাঁদে। জীবন না থাকলে ভালোবাসার গতি কি?
এঞ্জেলরা হয়ত চেয়ারে বসে আরাম করে মানুষের কাণ্ডকারখানা তাকিয়ে দেখতে পারে। কে কি চাইবে কোন পরিস্থিতিতে পড়লে, এসব তাদের একদম মুখস্থ। তবুও এর নড়চড় হবে, পরিবর্তন হবে। কারণ মানুষই সৃষ্টির সেরা জীব। সৃষ্টির এক অনন্য রহস্যাবৃত প্রাণী।
মহাবিশ্বের আরেকটি রহস্যাবৃত জিনিসের নাম অ্যান্টিম্যাটার। পল ডায়ারেক ১৯৩৩ সালে এর কথা বলেছিলেন। আমরা চারিদিকে যা দেখি তার সব 'ম্যাটার' বা পদার্থ। এদের ঠিক বিপরীত চার্জ যুক্ত কণার নাম অ্যান্টিম্যাটার। ম্যাটার আর অ্যান্টিম্যাটার একত্রে যুক্ত হয়ে গেলে উভয়েই বিস্ফারিত হয়ে অদৃশ্য শক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে যায়।
তাহলে শূন্য থেকে (অদৃশ্য শক্তি থেকে) কোন বস্তুকে সৃষ্টি করলে, আপাতভাবে একপাশে পার্টিকেল আর অন্য পাশে হুবহু অ্যান্টি-পার্টিকেল তৈরি হবে।
মহাবিশ্ব শূন্য থেকে ঠিক এভাবে সৃষ্টি হওয়াটাই আবীর বেশী বিশ্বাস করে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা আজো জানেনা কোথায় সেই অসংখ্য অ্যান্টি-ম্যাটারগুলি? চারিদিকে সবই তো ম্যাটার। আবার সব ম্যাটার আর অ্যান্টি-ম্যাটার একত্রিত হয়ে এই মহাবিশ্ব আবার শূন্য হয়ে যাওয়ার কথা ছিল, তাও কিন্তু হয়নি।
অনেকে মনে করেন, হয়ত বহুদূরের কোন গ্যালাক্সি ঠিকই অ্যান্টি-ম্যাটারে তৈরি। আমরা জাস্ট জানিনা।
মাত্র এক গ্রাম ম্যাটার আর অ্যান্টি-ম্যাটার নিয়ে সানের পাছার তলে মিলিত করে দিলে যে বিস্ফারণ হবে তা অচিন্তনীয়। এটা 'এটম বোমা'র চেয়ে কম না।
আবীর উৎসুক হয়ে উঠে বসে,
কেউ যদি পরিমাণ মত ম্যাটার আর অ্যান্টি-ম্যাটারের কলিশান করতে পারে, তাহলে সময় ও অবস্থানের দেয়ালকে চাপ দিয়ে ভেঙে ফেলে ওয়ার্ম হোল তৈরি করে ফেলা সম্ভব। যা দিয়ে হেসে খেলে টাইম মেশিন বানানো যাবে।
কিন্তু একই বস্তু যদি হয়, ম্যাটার আর অ্যান্টি-ম্যাটারের তৈরি? তাহলে.... কথাটা শেষ করতে পারলো না আবীর...
হঠাৎ বিছানার নীচ থেকে খট করে একটা শব্দ শুনল আবীর, সে একদম চুপ হয়ে গেল, কিসের শব্দ দেখার জন্য যেই উঠতে যাবে, ঠিক সেই মুহূর্তে যা ঘটল তার জন্য আবীর একদম প্রস্তুত ছিলনা।
বিছানার মাঝখানটা একদম ফাঁকা হয়ে গেলো। আর আবীর টুপ করে পড়ে গেলো ভিতরে!
আবীর চিৎকার করছে, বাতাসে তার চুল উড়ছে। এক বিশাল পর্বত থেকে নীচের দিকে যেন পড়ে যাচ্ছে সে। উপরে খোলা আকাশ। বিছানা নামক কোন বস্তুর নাম গন্ধও নেই কোথাও। চারিদিকে খোলা বাতাস বইছে।
কিছুক্ষণ চিৎকার করে আবীর বোর হয়ে হাল ছেড়ে দিলো। খামাখা চিল্লাচিল্লি করার কোন মনে নাই। সত্যি বলতে তার এখন বেশ ভালোই লাগছে।
প্রচণ্ড বাতাসে আবীরের চোখ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আবীর সোজা নীচের দিকে পড়ে যাচ্ছে। তার বিছানা থেকে নীচে মেঝেতে পড়ার কথা। কিন্তু কোথায় কি, সে বিশাল খাদে পড়ে যাচ্ছে খুব সম্ভবত।
নীচে তাকিয়ে আবীর যে কি পরিমাণ শক খেলো তা বলার মত না। নীচে আকাশ। সেখানে বিকালের আকাশে হালকা চাঁদ দেখা যাচ্ছে। আর আকাশে অসংখ্য পাখি উড়ছে। অ্যা???
নীচে চাঁদ? সে কি নীচের দিকে পড়ছে নাকি উল্টো হয়ে উপরে উঠে যাচ্ছে?? কথাটা প্রায় শেষ হতে না হতেই আবীর সজোরে আছড়ে পানিতে পড়ে গেলো।
আবীর ধড়মড় করে উঠে চোখ খুলতেই দেখলো, সান ওর দিকে উপুড় হয়ে তাকিয়ে হাসছে। তার হাতে খালি পানির মগ। ঘুমের মধ্যে কথা বলছে দেখে সান এসে গায়ে পানি ঢেলে দিয়েছে শয়তানি করে।
আবীর মিছেমিছি রাগী রাগী চোখে সানের দিকে তাকিয়ে উঠে বসল। ওহ, ঘুমিয়ে ছিল এতক্ষণ তাহলে সে? আবীরের সারা শরীর পানিতে ভিজে চপচপ করছে। এক মগ পানিতে তার সারা শরীর পানিতে ভিজে চপচপ হওয়ার কথা না। সব কিছুই খুব স্পষ্টভাবে দেখেছে সে। তার কেন যেন মনে হয়, এটা স্বপ্ন ছিলনা! কেউ তার চিন্তার মধ্যে বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করেছে।
আরে এসব কি ভাবছে পাগলের মত। এও কি সম্ভব নাকি? সানের দিকে তাকিয়ে
" কিরে ব্যাটা, কি সমস্যা তোর!"
" নে চল, এখন। গোসল তো করায়ে দিলাম! গেট খোলা রেখে ঘুমিয়ে আছিস কেন? চোর তো সব চুরি করে চা নাস্তা খেয়ে আরামে বাড়ি চলে যেতে পারবে। এখন চল রাতে আমরা প্ল্যানচেট করব।"
আবীর চোখ কপালে তুলে..
" কি করব?... প্ল্যানচেট! কোথায়? কেন? "
" আজ অমাবস্যা তিথি। কাল ফাঁসি দিয়ে আমাদের পাশের ফ্ল্যাটের একটা মেয়ে মারা গেছে। তার নতুন আত্মা এখনো পৃথিবীতে ঘোরাফেরা করার কথা। তার আত্মাকে ডাকা হবে। অমাবস্যা তিথিতেই তাকে ডাকতে হবে। আজই মোক্ষম সময়। সময় নষ্ট করিস না। তাড়াতাড়ি কর। "
আবীর অবাক হয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলো। তারপর কঠোর ভঙ্গীতে বলল,
" কেনো তার আত্মাকে ডাকা হবে? "
" সব যেতে যেতে বলব, আগে রেডি হ"
আবীর উঠে রেডি হতে লাগলো। তার মুখ তেতো তেতো লাগছে। মনে হচ্ছে খুব খারাপ কিছু ঘটবে। যদিও সে বিশ্বাস করে প্ল্যানচেট ভুয়া জিনিস। মৃত্যুর পর কখনো আত্মা জাগতিক জগতে প্রবেশ করতে পারবেনা। তাহলে খারাপ কিছু হবে কিভাবে? তবু কেন যেন মন বলছে খুব অশুভ কিছু ঘটতে চলেছে। খুব অশুভ কিছু...
continued to...
next part....
:)
"৯- দুঃস্বপ্নের প্রথম প্রহর-(প্রথম পর্ব)
**পরের পৃষ্ঠায়**
[please vote & comment
if you liked the chapter
please please! :) :)
Bạn đang đọc truyện trên: AzTruyen.Top