২৬
#অভিসারক_ও_অভিসারিণী
লেখা #AbiarMaria
#২৬
ফারহার ঘুম মাত্র লেগে এসেছে, স্বপ্নে সে আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে, ঠিক তখনই কে যেন ঠ্যাং ধরে টেনে মাটিতে নামিয়ে আনলো। ধড়মড়িয়ে বিছানায় উঠে বসতে দেখল জামান ড্রেস চেঞ্জ করছে।
"কতবার ডাকতে হয় তোমাকে? আমার জীবন তো।অর্ধেক তোমাকে ডাকতে ডাকতেই শেষ হয়ে যাবে!"
"মাত্র ঘুমালাম, আর আপনিও...!"
"মাত্র?! এক ঘন্টা হয়ে গেছে! মানুষ পাওয়ার নেপ কি কয়েক ঘন্টা ধরে নেয়?"
ফারহা এলোমেলো চুল ঠিক করার বৃথা চেষ্টা করতে করতে বলল,
"আমরা পাওয়ার ন্যাপ কেন নিচ্ছিলাম?"
জামান চুলে চিরুনী চালাতে চালাতে বলল,
"কারণ কাপলরা হানিমুনে আসলে পাওয়ার ন্যাপ নেয়, ঘন্টার পর ঘন্টা ঘুমায় না"
ফারহা আবার বিছানায় শুতে শুতে বলল,
"আর ঘুমালে কি হয়?"
"ভেকেশন হয় সেটা, হানিমুন না। এই, তুমি আবার শুয়ে পড়তেছ কেন? এবার কিন্তু তুলে নিয়ে বাইরে স্নোর মধ্যে ফেলে আসব!"
"মজা হবে তো। শুনেছি, স্নোতে পড়লে নাকি নরম বালিশের মত ফিল হয়"
"এই পাতলা কাপড়ে ফেলে দিলে বুঝবা বালিশ নাকি বরফ। এখন উঠে নামায পড়ে নাও। আমরা ঘুরব"
ফারহা স্কাই ব্লু রঙের স্কার্ট আর সাদা থ্রি কোয়ার্টার টপস পরল। একটা স্কার্ফ পেচিয়ে নেয়ার পর জামান এসে সেটা ভালোভাবে পিন আপ করে দিল।
"আপনি মেয়েদের হিজাবও বেঁধে দিতে পারেন?"
"একজন কেয়ারিং স্বামীকে এসব জানতে হয়। তুমি অবশ্য এসব জানবে না, কারণ আমি কেয়ার করলেও তুমি আমার প্রতি কোনো কেয়ার নাও না"
"বাহ! একদিনেই অভিযোগ চলে আসলো যে আমি কেয়ারিং না?!"
"কেয়ারিং হলে আমার অনুরোধ রাখতা। তুমি করে বলতা"
কথা শেষ করেই জামান ঘর থেকে বেরিয়ে ওকেও বের হতে ইশারা করল। বিরক্তি চেপে অগ্রত্যা ও ঘর থেকে বের হলো। ওদের করিডর পেরোলে একদিকে রিসিপশন, অন্য দিকে বিভিন্ন বড় বড় ঘর। জামান একটা ঘরে ঢুকে গেল। বিশাল ঘরটায় বোলিং-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফারহা যতটুকু জানে, এটাকে টেন পিন বোলিং বলে। জামান ওকে পাত্তা না দিয়েই খেলতে শুরু করল। প্রথমবারে ওর দশটার মাঝে আটটা পড়ে গেল। ফারহা বেশ ইম্প্রসড হয়ে বলল,
"বাহ, পাক্কা খেলোয়াড়!"
জামান মুচকি হাসলো।
"আমার একবারে টেন পিন ফেলার রেকর্ডও আছে"
"ভালো। তা আমাকে একটা সুযোগ দেয়া যায়?"
জামান দ্বিতীয় বল ওর হাতে দিল। ফারহা হাতে নিয়ে পড়তে পড়তে কোনোমতে দাঁড়ালো। চোখ পাকিয়ে জামানকে বলল,
"এটা যে এত ভারী, আগে জানাতে পারেন নাই?! আমি পড়ে হাত পা ভাঙলে দোষ হত কার শুনি?!"
"তোমার দোষ হত, কষ্টও তোমারই হত!"
রাগ হজম করার চেষ্টা করে ফারহা বল ছুড়লো। আনফরচুনেটলি কোনো পিনে না লেগে সেটা এক কোণায় পড়ে গড়িয়ে গড়িয়ে চলে গেল। ফারহা এত দ্রুত হতাশ হওয়ার পাত্রী নয়। সে আরেকটা বল নিল। নতুন করে সব গুলো পিন সাজলো। এবার একটা মাত্র পড়ল। তৃতীয় বার আরেকটা। ফারহা নব্য উৎসাহে বল নিয়ে খেলছে।
বোলিংয়ে কখন এক ঘন্টার বেশি কেটে গেছে, ওদের খবর নেই। জামান ওকে টেনে নিয়ে গেল নাস্তার জন্য। খাওয়ার পর জামান অফার দিল,
"পুলে যাবা?"
"এই সময়ে? এত রাতে?"
"এখানে এমনিতেও পুলে নামতে পারবা না। ইটস নট প্রাইভেট। আর সবাই বিকিন পরে পুলে নামে। তুমি তো আর এমন কিছু করবা না। বেশি হলে আমরা পা ভেজাতে পারব, এই যা। যাবা?"
"চলো"
পুলের পাড়ে ওরা যখন পা ভিজিয়ে বসলো, তখন আশেপাশে তেমন কেউ নেই। যারা আছে, তারা হয়ত সেভাবে পুলে নামার জন্য আগ্রহীও। ফারহা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল। এই দেশের মানুষগুলোর যখন তখন কাপড় খুলে ফেলাটা ও এখনো হজম করতে পারছে না যদিও শীতের কারণে ওকে এখনো দেখতে হচ্ছে না এসব। তবুও যতবার এমন একটা সিনারি চিন্তা করে, ততবার কেঁপে ওঠে। বাংলাদেশের মেয়েরা সাধারণত বুকের উপর থেকে ওড়না সরায় না সহজে, এখনকার অতি আধুনিকাদের কথা আলাদা। কিন্তু তবুও যথেষ্ট শালীন পোশাক পরে বাংলাদেশে। এখানে যেন সব কিছু একটু বেশিই খোলা! হুট করে একটা প্রশ্ন মাথায় আসতেই ও জামানকে সেটা করে বসল।
"আচ্ছা, আপনি যখন প্রথম এই দেশে বিকিনি পরা মেয়ে দেখলেন, তখন কি হাঁ করে তাকিয়ে ছিলেন?!"
ফারহার প্রশ্নে জামান বেশ ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেল।
"কি আশ্চর্য, এ আবার কেমন প্রশ্ন?!"
"একটা সত্য জানতে চাচ্ছি। কি করতেছিলেন আপনি? আলুর মত গোল গোল চোখ করে তাকায়িছিলেন নিশ্চয়ই?!"
"কি আশ্চর্য! এরকম কেন করব?!"
"কারণ আপনি তো আগে কখনো এরকম মেয়েদের দেখেননি!"
"শোনো, আলুর মত গোল গোল চোখ করে তুমিই সবসময় আমাকে দেখতে। আমি কাউকে এভাবে দেখিনা। হ্যাঁ, শুরুতে খুব অস্বস্তি লাগত, এখন লাগে না। ওদের ড্রেসাপে অভ্যস্ত হয়ে গেছি"
ফারহা মনে মনে বলছে, আমি বুঝি কিছু বুঝি না? সব ছেলেরাই তো মেয়েদের সামনে সাধু সাজার চেষ্টা করে। সুযোগ পেলে চোখ দিয়ে দেখতে কেউ ছাড়ে না! জামান যেন ওর মনের কথা বুঝে ফেলল।
"ফারহা, আমাকে তুমি নিজের মত মনে করিও না৷ আমার নিজের উপর যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণ আছে। তোমার মত আনকন্ট্রোলড বিহেভিয়ার করি না!"
জামান পুল থেকে উঠে গেল। ফারহা বিরক্ত হয়ে গেছে। হানিমুনে এসছে নাকি ঝগড়া করতে এসছে সেটাই বুঝতে পারছে না। এই লোকের এত রাগ কেন? যাহ, যাবোই না আমি এখান থেকে! পুল সাইডে ফারহা একা একা অনেকক্ষণ বসে থাকলো। তারপর বিরক্ত লাগায় উঠে জামানকে খুঁজতে বের হলো। পুরো রিসোর্টে খুঁজে পাচ্ছে না। জামান কি বাইরে গেছে? কি করবে? পোর্চে আছে কিনা দেখবে? রিসিপশন পেরিয়ে বাইরের দরজা টেনে খুললো, ওমনি এক গাদা ঠান্ডা বাতাস ওর চামড়া কেটে বসল। কোনোমতে দুহাতে নিজেকে ধরে সে বাইরে পা ফেলল। চারপাশে বরফ শুভ্রতা, অন্ধকারে রিসোর্টের আলোতে অচেনা পৃথিবী মনে হচ্ছে বরফাচ্ছন্ন চারপাশ। ও বাঁ তাকালো, কেউ নেই। ডানে তাকিয়ে দেখল একটা চেয়ারে একটা কালো ছায়ামূর্তি। এটা কি জামান? নাকি অন্য কেউ? কাছে যাওয়া কি ঠিক হবে? নাকি ডাকবে? দ্বিধায় পড়ে ধীর পায়ে ছায়ামূর্তির দিকে এগিয়ে গেল। ছায়ামূর্তির কাছে পৌঁছে দেখল ওটা একটা বস্তা জাতীয় কিছু, কোনো মানুষ না। তাহলে জামান কোথায় গেল? পেছনে ঘুরতেই পিলে চমকে উঠল!
"কি ব্যপার? এই সময় বাইরে কেন তুমি?"
"উফ, আল্লাহ!"
নিজের বুকে থুতু দিয়ে নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করছে।
"কখন এসে দাঁড়ালেন আমার পিছে?! টেরই তো পেলাম না!"
"দেখলাম তুমি বাইরে যাচ্ছো, এজন্য তোমার পিছু পিছু আসলাম। এখানে কি?"
"আমি তো আরও আপনাকে না খুঁজে পেয়ে আসলাম। কোথায় ছিলেন?"
"রুমে গিয়েছিলাম। ভেতরে এসো, ডিনারের সময় হয়ে গেছে"
ফারহার অনেক কিছু বলতে ইচ্ছে হচ্ছিল। শীতের রাতে ওর কন্ঠ যেন বুঁজে আসছিল, বলতে পারছে না। বুকের ভেতর অভিমান দলা পাকাচ্ছে। ও জামানের সাথে না গিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকলো। জামান কিছুটা দূরে এগিয়ে পিছে তাকিয়ে আবার দাঁড়িয়ে পড়ল।
"কি হলো? আসো? এই ঠান্ডায় জমে মরতে চাও নাকি?"
ফারহা জবাব না দিয়ে ঘুরে দাঁড়ালো। ও কত আবেগ নিয়ে খুঁজতে এসেছিল স্বামীকে, অথচ তার ভাব দেখে মনে হচ্ছে তার কোনো আসে যায় নি এতে। ফারহায় ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা দেখে জামান ওর দিকে ফিরে এলো। নিস্পৃহ ভাবে বলল,
"কি হলো? কি সমস্যা?"
"আগে আপনি বলেন কি সমস্যা? আমার সাথে এরকম রাগ হয়ে আছেন কেন?"
"তুমি এসব বোঝো না?"
"না বুঝি না। বোঝান"
"থাক তাহলে, বুঝতে হবে না। ভেতরে আসো"
"না আমি যাবো না। আপনি আগে সব বলেন, তারপর যাবো"
ফারহা ঠান্ডায় কাঁপছে। এই টেম্পারেচারে এত পাতলস কাপড়ে টিকে থাকা কঠিন। জামানের কাছে অযথা জেদ বিরক্ত লাগছে।
"বিরক্ত না করে ভেতরে আসো। ঠান্ডা লাগবে তোমার!"
"তাতে আপনার কি? আপনার তো কোনো আসে যায় না!"
জামান ওর হাত ধরতেই ও সেটা ছাড়িয়ে নিল। জামান মাথা নেড়ে বলল,
"আচ্ছা, এরকম জেদ করা কি ঠিক?"
"করব না জেদ, আগে বলেন এত রেগে গেলেন কেন? আমি তুমি করে বলছি না শুধু এজন্য?"
"না। কারণ তুমি সবসময় আমাকে চরিত্রহীন প্রমাণের চেষ্টা করো। কেন? হাতের পাঁচ আঙুল কি সমান হয়? সব ছেলে এক হয়? বাংলাদেশে থাকতে তুমি আম্মুকে আমার চরিত্র নিয়ে উল্টোপাল্টা বলছ, আমি কিছু বলছি তখন? ভাবছি তুমি বুঝো নাই, বুঝবা। এখন আবার জোর করে বলতেছ আমি কাউকে বিচের ড্রেসে দেখলেই..."
"আহ, এটা সিরিয়াস ছিল না তো! ওকে আমি সরি, আর বলব না। খুশি?"
"থাক, বাদ দাও। ভেতরে চলো!"
বউকে এক হাতে জড়িয়ে রিসোর্টের ভেতরে নিয়ে আসলো। ডিনার করতে করতে ফারহা প্রশ্ন করল,
"আচ্ছা, আমি তো অনেক বছর ধরে আপনাকে আপনি আপনি করে বলি। এখন কি সমস্যা?"
"এত বছর আমাদের মাঝে যে সম্পর্ক ছিল, এখন কি সেটা আছে যে আপনি বলতা? আগে তো ভাইয়া ডাকতা, এখন কি ভাইয়া ডাকবা?"
"ঠিক তা না..."
"তোমার মুখে আপনি আপনি শুনলে মনে হয় তোমার সাথে এখনো আগের মত দূরের একটা সম্পর্ক, অথবা ফরমাল সবকিছু। তোমাকে আমার তখন পর পর লাগে!"
"কিন্তু আপনি আমার সিনিয়র!"
"তো? হাজবেন্ড সিনিয়র হলেই আপনি বলতে হবে এমন কোনো রেওয়াজ আছে?"
ফারহা মাথা নেড়ে আর কিছু বলল না।
খাওয়া শেষে দ্রুত ঘরের দিকে এগিয়ে গেল ওরা। ঘরে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে জামান বিছানায় বসে বসে ফোন টিপছে। ফারহা নামায পড়ে দেখল, জামান এখনও এভাবেই বসে বসে ফোন টিপছে। এদিকে ওর গা জ্বলে পুড়ে ছাই হবার জোগাড়। ধীর পায়ে ও লাগেজ থেকে কিছু জিনিস নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেল। দাঁত ব্রাশ করে ঘুমানোর জন্য তৈরি হয়ে নিল। না, আর দশদিনের মত না, একটু অন্যভাবে তৈরি হলো। প্রায় কোমর সমান চুল ছেড়ে ওয়াশরুম থেকে বের হলো।
জামান তখনও ফোন টিপছে। আড়চোখে একবার ফারহাকে দেখে চোখ সরাতে চেয়েও পারলো না। এই মেয়ে করেছে কি! গোলাপী রঙের ফিনফিনে একটা স্লিভলেস নাইট ড্রেস পরে আছে যার উপর দিয়ে পেলব নারীদেহের সৌষ্ঠব, ভাঁজ ফুটে ওঠেছে। এই কাপড় ওর হাঁটু পর্যন্ত এসে থেমে গেছে। এত এক্সপোজিংভাবে প্রেয়সীকে দেখে জামানের মনে হলো এক সেকেন্ডের মাঝে মাথায় আগুন ধরে গেছে।
এদিকে জামানকে তাকিয়ে থাকতে দেখেও সেদিকে মনোযোগ না দিয়ে ও ড্রেসিং টেবিলের সামনে গিয়ে বসলো। একটা ক্রিম মাখলো মুখে, ঠোঁটে মাখালো গোলাপি লেবেলো। একটা ময়েশ্চারাইজার নিয়ে লোমহীন পায়ে খুব আয়েশ করে মাখাচ্ছে। জামানকে ওর দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে বলল,
"কি সমস্যা তোমার? তুমি না নিজেকে খুব নিয়ন্ত্রণ করতে পারো? এখন এরকম তাকিয়ে আছ কেন?"
জামানের ঠোঁটের কোণে মুচকি হাসি। বিছানা থেকে নেমে ওর দিকে এগিয়ে আসতেই ফারহা লাফ দিয়ে সরে গেল। বিরক্ত হয়ে বিছানার অন্যপাশে যেতে যেতে বলল,
"এরকম করছ কেন? কন্ট্রোল, কন্ট্রোল। আমাকে জ্বালাবা না একদম। আমার কাজ আছে!"
"এই অবস্থায় তোমার কি কাজ?!"
"সেটা তোমার জানা লাগবে নাকি? তুমি না ফোন নিয়ে ব্যস্ত? ফোনেই ব্যস্ত থাকো। আমার দিকে তাকানোর কি আছে?"
জামান হাসছে। আর ফারহা ওকে শুনিয়ে শুনিয়ে গান গাচ্ছে-
ও জারা জারা টাচ মি টাচ মি টাচ মি,
ও জারা জারা কিস মি কিস মি কিস মি,
ও জারা জারা হোল্ড মি হোল্ড মি হোল্ড মি,
ও জারা জারা ও ও ও, ও ও ও!
জামান আলো নেভাতে নেভাতে বিড়বিড় করল, আজকে তোমার খবর আছে ফারহা বেগম! আমাকে টিজ করার মজা বুঝাবো আজকে!
এক ঘন্টা পর। ফারহা গুটিশুটি মেরে জামানকে জড়িয়ে ধরে জিজ্ঞাসা করল,
"আচ্ছা, তোমার কখনো মনে হয়নি যে, ফারহা অনেক নির্লজ্জ একটা মেয়ে?"
জামান হেসে ফেলল,
"হঠাৎ এই প্রশ্ন?"
"না মানে, বলো না? মনে হয় নাই?"
"নাহ। আমার তো নির্লজ্জ মেয়েই পছন্দ। এত লজ্জা পেয়ে জীবনের মূল্যবান সময় কেউ নষ্ট করে? এমনিতেই এইটুকু একটা জীবন। এই এক জীবনে এত লজ্জা আর সংকোচ থাকলে তো সমস্যা। আমি নিজেকে ভালোভাবে এক্সপ্রেস করতে পারিনি বলে আফসোস ছিল তোমাকে হারানোর পর থেকে। সবসময় মনে হত, ভালোবাসার অনুভূতিগুলো তোমার মত করে আমি কেন প্রকাশ করতে পারি না? এখন আর আফসোস নেই। বাই দা ওয়ে, থ্যাংকস আমাকে তুমি করে বলার জন্য। ইউ রিয়েলি কমপ্লিট মি!"
রিসোর্টের বাইরে বরফের রাজ্যেও তখন একটা চাঁদ উঠেছে আকাশে প্রকৃতির সৌন্দর্যকে পরিপূর্ণ করতে। সে চাঁদের আলোয়ে আবছাভাবে ওদের ঘরে দুজন নরনারীকে একে অপরের নেশায় বুঁদ হতে দেখা যাচ্ছে।
চলবে...
Bạn đang đọc truyện trên: AzTruyen.Top