#1 Reunion (1)

Reunion

#ছোটগল্প

#১

ড্রেসিংটেবিল এর সামনে দাঁড়িয়ে নিম্মি দেখছে ওর শাড়ির কুঁচিটা ঠিক আছে কিনা।ইশ,একা একা শাড়ী পড়া কি সহজ ব্যাপার নাকি?কুঁচিটা মনে হয় একপাশ হয়ে গেছে,নাহ,একটু টেনে দিতে হবে। আর আঁচল? নিম্মির কাছে মনে হয় ঠিক আছে।
আচ্ছা,চুল কি বাঁধবে,নাকি খোলাই ভালো?নিম্মি দোটানায় ভোগে।একপাশ থেকে চুল হাল্কা বেঁধে বাকিটুকু খুলে ডান দিকে সামনে এনে রাখে। কানে এক জোড়া বড় ঝুমকা পড়ে,গলায় হার, আর হাতে একগাদা রেশমি চুড়ি।
আয়না থেকে একটা টিপ নিয়ে কপালে দেয়।

হুম,ঠিক একটা পুতুলের মত লাগছে,নিজেকে দেখে নিজের কাছেই ভালো লাগে। কত দিন পর অমন শখ করে সাজা হল,আহ! বহুদিন পর নিজেকে জীবন্ত মনে হচ্ছে নিম্মির। আচ্ছা বেঁচে থেকে যদি নিজেকে ভালো নাই বাসা যায়,তবে তো মৃত মানুষের সাথে জীবিত মানুষের কোন পার্থক্য আছে কি?

নিম্মি পার্সটা নিয়ে বেরিয়ে পড়ে।অনেক দিন ধরে ভাবছে আজকের এই দিনটা নিয়ে।আজ তো দেরী করা কোনভাবেই ঠিক হবে না।

বাইরে বেরিয়ে একটা রিকশা নিয়ে নেয়।আজকের দিনটা বেশ রৌদ্রোজ্জ্বল, আকাশ পরিষ্কার নীল,সবকিছু বেশিই নির্মল আর শান্ত।মিনিট ত্রিশ লাগবে ওখানে পৌঁছাতে।হয়ত অনেকেই ওখানে অপেক্ষা করছে না,কিন্তু কিছু প্রিয়মুখ তো আছেই।

কলেজের ৫০ বছর পূর্তি আজ,সে উপলক্ষে এক বিশাল কমিউনিটি সেন্টারে প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা আয়োজন করেছে বিশাল রিউনিয়ন। নিম্মি সেখানেই যাচ্ছে।বহুদিন পর অনেকগুলো প্রিয় মুখ আজ দেখা হবে।না চাইলেও নিম্মির ভেতর একটা চাপা উত্তেজনা কাজ করছে।হয়ত সবাই বেশ বদলে গেছে,কারো কারো বিয়ে হয়ে গেছে,কেউ চাকুরী করছে,কেউ বিদেশে চলে গেছে,হয়ত কেউ আবার সেই আগের মতই আছে
নিম্মি হাসে।আজকের দিনটা সুখকর হবে,এটাই তো একমাত্র ইচ্ছা।কত ঝগড়া,মনোমালিন্য ছিল,কেউ কি এসব ধরে রাখে?নিম্মি তো রাখে নি।দিনগুলো সোনালী ফ্রেমে বাঁধানো থাকার মত,কলেজ লাইফ!

নিম্মি যথাস্থানে পৌঁছে যায়। ওখানে গিয়েই চোখজোড়া খুঁজে বেড়ায় পরিচিত মুখগুলো।কি সুন্দর করে সাজিয়েছে ওরা! মুগ্ধ চোখে সব দেখতে দেখতে ভেতর প্রবেশ করে।কমলা-লালের কম্বিনেশনে বিয়ে বাড়ির মতই লাগছে।চারপাশে হই হুল্লোড়,এসেই লাফিয়ে জড়িয়ে ধরছে একে অপরকে,সবার একান ওকান হাসি,কারো চোখে আবেগের পানি।যেখানে চোখ যাচ্ছে,সেখানেই আনন্দ আর সুখের ছোঁয়া। নিম্মিকে অন্যরকম ভালো লাগা ছুঁয়ে যায়,সিনিয়র ব্যাচের আপু ভাইয়া,যাদের ফলো করে বড় হয়েছে,তাদের পরিপূর্ণ রূপে দেখে কি ভালোটাই না লাগছে।

পেছন থেকে সায়মা ডাক দেয়।নিম্মি ওদের দেখে চিৎকার দিয়ে জড়িয়ে ধরে।জয়া,আঞ্জুম,শিল্পী, ছবি, এলিজা,শাহেদ,নাবিল,তন্ময়, মঈন আরো কত গুলো মুখ!নিম্মি চেঁচাতে থাকে,সবার দিকে অবাক চোখে দেখে,কি সুন্দর ভাবে ওরা একেকজন বদলেছে!ক্লাসে সবচেয়ে ক্ষেত ছেলে মেয়েটাকেও অনেক স্মার্ট আর রুচি সম্মত মনে হচ্ছে।মেকাপ,ড্রেসাপ এ কেউ কারো থেকে কম যায় না।কিছুক্ষণ পর একপাশে গোলটেবিলে বসে সবাই যার যার জীবন আর বর্তমান অবস্থা নিয়ে কথা বলতে শুরু করে।কে কোথায় আছে, কে কে বিয়ে করেছে,কার চাকুরী কোথায় হল,আরো নানা বিষয়ে সবার মাঝে বহু পুরোনো আড্ডা জমে ওঠে।

হঠাৎ সবাই যেন একটু চুপ মেরে যায়।নিম্মির দিকে আড়চোখে তাকায়।নিম্মি বুঝে না,সবাই এরকম করছে কেন?খেয়াল করে দেখে সবাই ওর পেছন দিকে তাকাচ্ছে।নিম্মি ঘাড় ঘোরানোর আগেই কাঁধে কারো হাতের স্পর্শ পায়।পরিচিত একটা ঘ্রাণ আসছে না? নিম্মি উঠে দাঁড়ায়,এক পায়ে ভর দিয়ে পেছনে চেয়ে চমকে ওঠে!অস্ফুটভাবে মুখ থেকে বেরিয়ে যায়,

-জাহিদ!
-চিনেছ তাহলে!

নিম্মি আর জাহিদ একে অপরের দিকে পলকহীন দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে,সময় বদলে গেছে,কিন্তু মানুষ দুটো এখনো এক রকমই রয়ে গেল।জাহিদের থুতনিতে হাল্কা দাড়ি ছিল তখন,এখন চাপ দাড়ি রেখেছে,চোখে রিমলেস চশমা,চশমার ওপাশে চোখ জোড়া এখনো আগের মতই,ছাই রঙা,চুল গুলো ব্যাকব্রাশ করা,শরীর থেকে ফগের ব্ল্যাক কালেকশন এর কড়া ঘ্রাণ আসছে,আর ঠোঁটের কোণায় সেই মুচকি হাসি।তার এই হাসিতে হারিয়ে গেছে কতশত যুবতী,এমন সুন্দর পুরুষ এই দেশে খুব বেশি নেই যে।

জাহিদেরও নিম্মির দিক থেকে চোখ ফেরে না।মেয়েটা আগেও রূপবতী ছিল,এখন যত্নের কারণে আরো বেড়েছে,স্বর্ণ যেমন ঘষামাজায় নতুন রূপে জ্বলে ওঠে।চুল গুলো আগের চেয়ে ছোট,কপালে ছোট্ট টিপ,সেই গভীর কালো চোখজোড়া যাতে হারিয়ে যাওয়া যায় যেকোন সময় কিন্তু এর শেষ নেই, ফোলা ফোলা গালে পড়া টোল,রঙ মাখানো একজোড়া ঠোঁট।বেগুনী রঙের শাড়িতে ওর দিকেই আজ জাহিদের তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে হচ্ছে।মেয়েটার এত সৌন্দর্য আগে এভাবে দেখা হয় নি কেন?

ওদের দুজনকে দুজনের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে সবাই মুচকি মুচকি হাসছে।তবে সায়মা মনে হয় খানিকটা বিরক্ত,ও গলা খাঁকারি দিয়ে ওঠে যেন ওদের সম্মোহনটা এবার ভাঙে।নিম্মি চমকে ওদের সবার দিকে তাকায়,কিন্তু জাহিদের ধ্যান যেন ভাঙে না,একদৃষ্টিতে সেই থেকে তাকিয়েই আছে।নাবিল খোঁচা মেরে বলে,
-কিরে,এভাবেই সময়টাকে আটকে রাখবি?নাকি সময়ের স্রোতে গা ভাসাবি?
জাহিদ নিম্মির দিকে তাকিয়েই বলে,
-সময় তো চলছেই,তবে সবসময় সময়ের স্রোতে গা ভাসালে কি আর হয়?

নিম্মির অস্বস্তি লাগে।ও চেয়ারে বসে সবার মুখের দিকে চোখ পড়তেই দেখে সবগুলো চোখ ওদের দুজোনের ওপরই ঘুরছে।নিম্মির অস্বস্তি বাড়ে।অস্থির চাহনীতে অস্থিরতা ফুটে ওঠে।ফোনটা সামনে নিয়ে এমনিই অগোছালোভাবে টিপতে থাকে।টের পায় জাহিদ পাশের চেয়ারেই বসেছে।একটু আগে না ওখানে শিল্পী বসেছিল?সরে গেল নাকি?নিম্মির যেন আরো অস্বস্তি বাড়ে।জাহিদের মুখের দিকে তাকাতে ইচ্ছা করে,কিন্তু সাহস হয় না।পাশে বসে সায়মার সাথে টুকটাক কথা বলতে থাকে।এরমাঝে জিজ্ঞাসা করে,
-ও কি তাকিয়ে আছে?
-না,তবে একটু পর পর তাকাচ্ছে।

নিম্মি অন্যমনস্ক হয়ে যায়।কলেজের পুরোনো দিন গুলো দুচোখে হুটোপুটি করছে।অনিচ্ছা সত্বেও ঐদিন গুলো চোখের সামনে রঙীন ছায়াছবির মত নাচছে।

জাহিদ ছিল নিম্মির মতই ব্রিলিয়ান্ট, প্রথম সারির ছাত্র।আন্তঃকলেজ ডিবেট কম্পটিশন উপলক্ষে ওদের প্রথম কথা বলা শুরু হয়।জাহিদ,নিম্মি আর সিরাজ ছিল সেবার এক দলে।হলি ক্রসের সাথে সেবার ওরা জিতেছিল ফাইনাল এ।এত হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছিল,তবে জাহিদ আর নিম্মির জুটি ভালো ছিল খুব,ওদের কারণেই সামান্য পয়েন্টে হলেও ট্রফিটা ওদের হাতেই চলে আসে।চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সবার সে কি চিয়ারিং!ওরা ৩জন সেলিব্রিটি হয়ে গিয়েছিল।সেই সুবাদে স্যারেরাও ওদের বিশেষ নজরে দেখত।আগে যেখানে ফর্মাল সম্পর্ক ছিল,সেখানে নিম্মি আর জাহিদের মাঝে গড়ে ওঠে কঠিন রকম বন্ধুত্ব।পড়ালেখার পাশাপাশি অন্যান্য কাজেও নিম্মি,জাহিদ,সায়মা,শিল্পী,নাবিল,শাহেদ ওরা একত্রে করত।ফার্স্ট ইয়ার,সেকেন্ড ইয়ার ফাঁকিবাজি,দুষ্টুমি,আড্ডা আর ঘুরোঘুরি করতে করতেই কেটে গেছে।ধীরে ধীরে গুটিগুটি পায়ে এইচএসসি পরীক্ষা এগিয়ে আসতে আসতে হঠাৎ করেই যেন ওদের ঘাড়ের উপর লাফিয়ে পড়ল।এরকম একটা অনুভূতি হল ঠিক যখন টেস্ট নিয়ে কড়াকড়ি শুরু হল।সবার অবস্থা তখন "ছেড়ে দে মা,কেঁদে বাঁচি"।নাকে মুখে শুরু পড়াশোনা সবার।

টেস্টের কিছুদিনের মাঝেই ওদের বিদায় সংবর্ধনা।মেয়েরা কে কি রঙের শাড়ী পড়বে,আর ছেলেরা কি পাঞ্জাবি পড়বে সে নিয়ে মাথাব্যথা শুরু করে দেয়।সব ঠিক ছিল।বিদায় সংবর্ধনার ঠিক আগের দিন সকালে নিম্মি বই খাতা গোছাতে যায়।আর মাত্র কয়টা দিন,এরপর এগুলোর কাজ আর লাগবে না।গোছাতে গোছারে ওর ডায়েরি থেকে একটা চিরকুট খুঁজে পায়।

" নীল রঙা পরী হয়ে এসো কাল,
তোমায় নীল কাতানে দেখে বিদায় নিতে চাই"

নিম্মি ভীষণ চিন্তিত হয়ে যায়।এ কাজ আবার কার?এরকম চিরকুট তো কোন দিন পায় নি পুরো কলেজ জীবনে।যে লিখেছে,সে এমনভাবে লিখেছে যেন অন্যসব রঙে ওকে দেখা শেষ!সারাদিন যত কাজেই ডুবে থাকুক,মাথায় ঐ একটা চিন্তাই আসে,কে দিল এই চিরকুট??

পরদিন সকালে উঠে নির্দিষ্ট করে ধুয়ে রাখা সবুজ শাড়ীটা পড়তে যায়,গিয়ে দেখে ছোট বোন টা ওটায় জুস ফেলে দিয়েছে।আর সেটা দেখে নিম্মির এক চিৎকার!! মনে হচ্ছিল সারা বাড়ির জানালার সব কাঁচ ভেঙে একাকার হয়ে যাবে!নিম্মির মা অনেক কষ্টে মেয়েকে শান্ত করে।ঘরে নিয়ে তার নিজের একটা শাড়ি বের করেন।
-এই শাড়িটা পর মা।এটাতে তোকে অনেক মানাবে।

নিম্মি চোখ দুটো রসগোল্লার মত বড় বড় হয়ে যায়।এ দেখি নীল কাতান!ঐ যে চিরকুট...? আচ্ছা,চিরকুটটা কি কোন ভুতুড়ে কান্ড?নিম্মির কান গরম হয়ে যায়।আস্তে করে শাড়ি নিয়ে ঘরে এসে মাথা ধরে বসে পড়ে?হচ্ছেটা কি?এখন কি করবে।

কলেজে সেদিন ওর বান্ধবী,বন্ধু সবাই চলে এসেছে,যদিও নিম্মিকে দেখা যাচ্ছে না।ওর আজকে পরীক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখার কথা।কিন্তু মেয়ে টা গেল কোথায়?সবার চোখ ওকে খুঁজে।

বেশ কিছুক্ষন পর এক চিপা থেকে যেন নিম্মি উদয় হয়!ধীর পায়ে যখন সে মাইকের দিকে হেঁটে যাচ্ছিল,ওর মনে শুধু ঘুরছিল,"হে চিরকুট দাতা!পছন্দের রঙে,পছন্দের শাড়িতে দেখলেন,কিন্তু কে আপনি!?"

বক্তব্য শেষে যখন সবার মাঝে বসতে আসে,দেখে যে,জাহিদের পাশের চেয়ারটা ওর জন্যে রাখা আছে।জাহিদের পাশে বসতেই ও কানের কাছে ফিসফিসিয়ে বলে,
-আজ কিন্তু দারুন লাগছে,এটাই চেয়েছিলাম!

নিম্মি বিস্ফোরিত চোখে জাহিদের দিকে চেয়ে থাকে।তার মানে কি...? গরমের ঘামের মাঝেও ওর শরীর আরেক দফা ঘাম দেয়,জাহিদ ওকে.....???

সেদিন অনুষ্ঠানে সারাক্ষণ নিম্মির হাত চেপে ধরেছিল।নিম্মি না পেরেছিল ছাড়াতে,না পারছিল ছেড়ে দিতে বলতে।যতবারই কিছু বলতে জাহিদের মুখের দিকে তাকায়, ততবারই থমকে যায়।কি যেন ওকে আটকে দেয়,কিছু বলতে পারেনা।সারাটা বিকেল যেন ঘোরের মাঝেই কেটে যায়।

নিম্মি বেশ কিছুদিন পর সায়মার বাসায় গিয়ে ওর সাথে সব আলোচনা করে।সায়মা খুব অবাক হয় সব শুনে।
-জাহিদের তো তোকে প্রপোজ করার কথা না!
নিম্মি মুখ কালো করে বলে,
-কেন?আমি দেখতে বেশি ভালো না,তাই?
-আরে ধুর!চেহারা কোথা থেকে আসতেছে?জাহিদের তো প্রেমিকা আছে একটা!
-কি বলিস!
-হ্যাঁ,কেন,তোকে না কিছুদিন আগে বল্লাম?
-আমাকে কিচ্ছু বলিস নি তো!
-বলেছি,তুই তখন অন্য দিকে তাকিয়ে ছিলি তাহলে!
-তাহলে আমার সাথে এসবের মানে কি?
-আমি জানি না রে!

নিম্মি বাসায় গিয়ে চিন্তায় পড়ে যায়।এসব আজেবাজে কাজ তো জাহিদ ওর সাথে করার কথা না!জাহিদ ছেলেটা বলা যায় কলেজের হার্টথ্রুব বয়,কত মেয়ে যে দিওয়ানা,কিন্তু ও তেমন কাউকেই পাত্তা দেয় না।জাহিদকে এ কয়েকদিনে নিম্মিরও ভালো লাগতে শুরু করেছিল,বন্ধুত্বটাকে অন্যভাবে দেখতে শুরু করেছিল।কিন্তু সায়মা কি বলল এটা?

নিম্মি ঠিক করে,যাচাই করবে।কিন্তু কিভাবে?জাহিদকে সরাসারি জিজ্ঞাসা করলে সে কি স্বীকার করবে?কখনোই না।এই কয়েকদিনে প্রতিদিনই ওর বাসার নিচে জাহিদ এসেছে সন্ধ্যায়,ঠিক যখন নিম্মি বেল্কনিতে চা খেতে বসে।জাহিদ দূর থেকে ওর দিকে তাকিয়ে থাকত,আর নিম্মি লজ্জা পেত।এ কয়েকদিনে পড়াশোনাও একেবারে লাটে উঠেছে।কারণ বই খুললেই জাহিদের হাসিমুখ ভেসে উঠত।

নিম্মি মাথা ধরে বসে পড়ে,একটা কিছু তো করতেই হবে ওকে!

চলবে...

লেখনীতে, #Abiar_Maria

A/N Do vote and comment,share your opinion..

Love yourself,love everuthing...

❤And keep me in your prayer...😊

Bạn đang đọc truyện trên: AzTruyen.Top